মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪

বন্ধুত্বের পারিবারিক প্রাণের মেলায় একদিন, ব্যাচ ৯৬

তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
বন্ধুত্বের পারিবারিক প্রাণের মেলায় একদিন, ব্যাচ ৯৬

ব্যাচ-১৯৯৬। এ সময়ে এসএসসিএইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে কেটে গেছে ২৮ বছর। এই দীর্ঘসময়ে এসব শিক্ষার্থীদের একেকজন নানা পেশায় চলে গেছেন। কেউ দেশে আছেন, কেউ বিদেশে আছেন। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে সারা দেশের একে অপরকে চেনা বা অচেনা এই নব্বইয়ের তরুণেরা ফেসবুক-এর মাধ্যমে এক হয়ে উদযাপন করছেন বন্ধুত্ব

স্রেফ আনন্দই নয়, বাস্তবে সামাজিক দায়িত্বও তারা পালন করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। একসাথে পাস করা, তবে ফেসবুকের মাধ্যমে এক হওয়া প্রাণের মেলায় এসব বন্ধুত্বের জয়গান নিয়েই এবারের প্রতিবেদন।

প্রাচীন মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’-এ মাইসিনির রাজা ও গ্রিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আগামেনন-এর বন্ধু ও বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা ছিলেন নেস্টরট্রয় যুদ্ধ-এ গ্রিক বীর অ্যাকিলিস-এর সঙ্গে আগামেননের দ্বন্দ্ব প্রশমনে তিনি পালন করেন প্রকৃত বন্ধুর ভূমিকা

একজন মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে দেয় একজন ভালো বন্ধু। মানুষের ভাব-ভালোবাসা ও পারিবারিক সম্পর্কের পাশাপাশি বন্ধুত্ব এমন এক সম্পর্ক, যেখানে দেওয়া-নেওয়ার হিসাব প্রবেশ করে না। দুঃসময়ে পাওয়া যায় নিঃস্বার্থ সহযোগিতা ও সঠিক পরামর্শ।

বন্ধুত্ব হতে পারে যে কোনো বয়সে, যে কোনো সম্পর্কে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মজীবন—সবখানেই গড়ে ওঠে এই সম্পর্ক। শৈশব থেকে মানুষ গড়ে তোলে বন্ধুত্ব, যা টিকে থাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধে

এসএসসি ব্যাচ-৯৬-এর শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন গ্রুপ-এর মাধ্যমে হয়ে ওঠেন আরও সরব। হঠাৎ করেই বেড়ে যায় মিলনমেলা ও আড্ডা। বন্ধুকে দেখা করতে যাচ্ছেন অথচ আগে কখনো দেখেননি—তবুও জানেন সে আপনার বন্ধু

এই বন্ধুত্বের ডাকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ‘প্রাণের মেলা’ নামে গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী মিলনমেলামেঘনা নদীর পাড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই আয়োজন।

এই আয়োজনে ছিল ভলান্টিয়ার সম্মাননা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যাফেল ড্র, নাটক, গান, নাচ, আবৃত্তিব্যান্ড শো—যা সৃষ্টি করে এক ব্যতিক্রমী আলোড়ন।

১৯৯৬ সালে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের একত্রে নিয়ে গঠনমূলক কাজ করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় একশ’ সাবেক শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন।

এই গ্রুপ শুধু হাসি-আনন্দ নয়, বরং সমাজসেবামূলক কাজ ও পারস্পরিক সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে—এমনটাই প্রত্যাশা উদ্যোক্তাদের।

এই ধারাবাহিকতায় এটি ছিল তৃতীয় আয়োজনবন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রেখে আবারও দেখা হবে ২০২৬ সালের কোনো এক দিনে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়