প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২
অপেক্ষমাণ

হাসানাত রাজিব অপেক্ষমাণ
দীর্ঘ রাতের অতৃপ্তি শেষে, নিঃশব্দে ঝরে পড়া শিউলি ফুলগুলো।
নিশীথ রাত জেগে, নির্নিমেষ চোখ তাকিয়ে রয় তার আগমনী গান শোনার অভিপ্রায়ে।
সে যেন নিস্তরঙ্গ ছায়ায় এসে, বুকের জমাট বাঁধা পাথরটাকে উপরে ফেলে।
ঝাঁপিয়ে পড়ে উত্তাল, বিদীর্ণ বুকটাতে নীল প্রজাপতি পেন্সিলের স্পর্শে এঁকে দেয়।যে জানালা আমাদের সদা আশ্রয়স্থল ছিল, এখানেই অপেক্ষমাণ জনারণ্য,
জনারণ্য ঠেলে জীবনের লাভ-ক্ষতির হিসেব কষে, আমিও সেই কোলাহলে নিজেকে খুঁজি।
এই রাত্তিরে নেই কোলাহল, নেই বুকফাটা দুর্বিনীত আর্তনাদ,
মনে হয় যেন এলে বুঝি, শিয়রে রেখেছি তাই একজোড়া স্নিগ্ধ সুরবাঁশি।শেষ বসন্তের ভালবাসা কখনো বেসুরো কাক হয়ে আমাকে পীড়া দেয়,
যে ভালবাসা প্রার্থিত উপহার ছিল, আজ কেন রূদ্ধশ্বাসে তা ছুটে যায় বুকের কাছ থেকে!
বসন্তের ফুলগুলো কি জানে বাতাস ধরে রেখে প্রেয়সীর সাক্ষাত পেতে?
ধোঁয়াটে ইটের প্রাচিরের আড়ালে স্বপ্নের মতো আমি অপেক্ষারত।