বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০১

ফরিদগঞ্জের চান্দ্রায় রোরোপিট খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলেন শিক্ষার্থীরা

স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অনেক অসাধ্য কাজও সহজে করা সম্ভব : ------------- ইউএনও সুলতানা রাজিয়া

প্রবীর চক্রবর্তী।।
স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অনেক অসাধ্য কাজও সহজে করা সম্ভব : ------------- ইউএনও সুলতানা রাজিয়া

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার কচুরিপানা পরিপূর্ণ বোরোপিট খালগুলো পরিষ্কার করলেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী চান্দ্রা এলাকায় এই পরিষ্কার কার্যক্রমে অংশ নেয়।

কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ মুকবুল আহমেদ রহমান জানান, কৃষি আবাদে ভরপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই অংশে খালের পানি কচুরিপানার কারণে নষ্ট ও দূষিত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের এই পানি ব্যবহার করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের কলেজ ও স্কুল শাখার শতাধিক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাশ্রমে বোরোপিট খালের কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া এই উদ্যোগে অংশীজন হতে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করেন।

স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদানের পরপরই এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করি। আমার কাছে শুরুতেই মনে হয়েছে, সেচ প্রকল্পভুক্ত এলাকা হওয়ায় এই উপজেলায় ডাকাতিয়া নদী ছাড়াও প্রচুর সেচ খাল, বোরোপিট খাল রয়েছে। যেগুলো কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। কৃষক সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ আমাকে সহযোগিতা করায় আমার আরো সুবিধা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সরকারি বেসরকারি নানভাবে কচুরিপানামুক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় তা শুরু করতে পেরেছি। গল্লাক আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করার পর থেকে আরো বেশি সাড়া পেয়েছি। আজ থেকে চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্বেচ্ছাশ্রমের এই মহান কাজে যোগ দিলো। আমার নিজের কাছে মনে হয়, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অনেক অসাধ্য কাজও সহজেই করা সম্ভব। আপনারা এগিয়ে আসায় আমরা কৃতজ্ঞ। আসুন সকলে মিলে ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার তার বক্তব্যে বলেন, কৃষি এই উপজেলার প্রধান অর্থনীতি। কচুরিপানাকে আমরা ইতোমধ্যেই সার ও বেড হিসেবে ব্যবহার করে সফলতা অর্জন করেছি। আশা করছি সকলে এগিয়ে আসলে নদী যেমন কচুরিপানা মুক্ত হবে, তেমনি ওঠানো কচুরিপানা দিয়ে ভাল কিছু করা সম্ভব হবে।

সিআইপি কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন দুলাল ও সম্বয়ক রহিমা কলি বলেন, কৃষকদের জন্যে কাজ করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। আমরা ফরিদগঞ্জ তথা সিআইপিকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রথম লক্ষ্য অর্জনে তথা নদী ও খাল সমূহ কচুরিপানা মুক্তকরণ শুরু হয়েছে। আমাদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশ ক'টি সংগঠন কাজ করছে।

চান্দ্রা ইমাম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ফরহান, আরিফসহ কচুরিপানা অপসারণে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, নদী ও খালবিলগুলো কচুরিপানামুক্ত হলে দেশীয় মাছ বাঁচবে। কৃষকরা তাদের ফসলে সঠিকভাবে পানি ব্যবহার করতে পারবে। এ জন্যেই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে খালে নেমেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়