প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১১
নবনিযুক্ত চাঁদপুর পৌর সচিবের সাথে জেলা রিকশা মালিক সমিতির বৈঠক

চাঁদপুর জেলা রিকশা মালিক সমিতি (রেজি. নং-১৭১২)-এর সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে পৌরসভার নবনিযুক্ত সচিবের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সমিতির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান সুমন মস্তান বলেন, ২০১৭-১৮ সালের পরে চাঁদপুর পৌরসভা থেকে আমাদের কোনো লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মেয়র চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ চাঁদপুর শহর থেকে রিকশা বিতাড়িত করার জন্যে আমাদের উপর যেভাবে অত্যাচার জুলুম করেছেন তা কোনো সভ্য সমাজে হতে পারে না। তিনি আমাদের রিকশা মালিকদের পেটে লাথি মেরে ছিলেন। আল্লাহর গজবে তারা হারিয়ে গেছে। জেলায় রিকশা মালিকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। যদি রিকশা বন্ধ করে দেয়া হয় অথবা মালিক রেখে ড্রাইভারদের লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে বেকার হয়ে পড়বে ২ থেকে আড়াই হাজার রিকশা মালিক। ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের পরিবারের ৯-১০ হাজার মানুষ। তাই সকল দিক বিবেচনা করে রিকশা মালিকদের লাইসেন্স দেয়ার জন্যে পৌরসভার কাছে অনুরোধ জানাই।
|আরো খবর
তিনি আরো বলেন, রিকশাই একমাত্র বাহন যে বাহন সিঙ্গেল চলাচলে, রোগী পরিবহনে প্রায় সবধরনের রাস্তায় চলাচল করতে পারে। মানুষের চলাফেরায় তাৎক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত রিকশা এ জেলার শত বছরের ঐতিহ্য। মালিক সমিতি ছাড়া ড্রাইভারদের দিয়ে রিকশা কন্ট্রোল করা যাবে না। যেখানে ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জেলা শহরে ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলাচল বন্ধ করে, অথচ আমাদের চাঁদপুর পৌরসভায় ওই ব্যাটারীচালিত ইজিবাইককে লাইসেন্স দিয়ে চলাচলের বৈধতা দেয়া হয়। অথচ শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী রিকশার লাইসেন্স বন্ধ করে রেখেছে এবং এই রিকশা বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট মালিক সমিতির সদস্যরা পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করতে গেলে তখনও পৌর প্রশাসক না থাকায় তারা তৎকালীন পৌর সচিবের সাথে কথা বলেন।
নবনিযুক্ত সচিব বলেন, আপনারা যখন আসছেন হতাশ হবার কিছু নেই। আপনাদের সাথে পরামর্শ করেই পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মহোদয় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা রিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান সুমন মস্তান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মুন্সি, সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলম মনা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সবুজ আখন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর গাজী, দপ্তর সম্পাদক মো. জসিম পাটওয়ারী, কোষাধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বেপারীসহ কয়েক শতাধিক মালিক ও চালক।