মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৯

ছবিই বলে দেয় রাস্তাটির অবস্থা কতো খারাপ!

অনলাইন ডেস্ক

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় একটি ছবিকেন্দ্রিক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর শিরোনাম হয়েছে ‘পুরাণবাজার-দোকানঘর রাস্তার ভয়াবহ অবস্থা, ভোগান্তিতে মানুষ’। এতে প্রতিবেদক মিজানুর রহমান লিখেছেন, চাঁদপুর শহরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ এপ্রিল ২০২৫) দুদিনে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে গেছে। সেই বৃষ্টির পানিতে পুরাণবাজার লোহারপুল থেকে জাফরাবাদ দোকানঘর পর্যন্ত পৌরসভার ভঙ্গুর রাস্তাটিতে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন চালক, যাত্রী সাধারণ ও এলাকাবাসী। তারা রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চান। এ ব্যাপারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এই সড়কে যাতায়াতকারী সকল বিক্ষুব্ধ মানুষ। বৃষ্টির পানি জমে থাকা ভাঙ্গা রাস্তার এই দৃশ্যটি স্থানীয় এমদাদিয়া মাদ্রাসার সামনের।

ছবি যে লিখিত বর্ণনার চেয়েও অনেক বেশি কথা বলে পুরাণবাজার-দোকানঘর রাস্তার উপরোল্লিখিত ছবিটি দেখলেই পাঠকমাত্রেরই অনুভূত হয়। এ রাস্তাটিকে যদি বর্তমানে চাঁদপুর শহরের দুঃখ বলা হয়, তাতে অত্যুক্তি হবে না। চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জোরালো তদবির করে এই রাস্তাটির জন্যে বরাদ্দ আনাটা অনেক জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে জেলার অভিভাবক হিসেবে জেলা প্রশাসকের আন্তরিক সহযোগিতা, মন্ত্রণালয়ে তদবির করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কেননা তিনি ছাড়া এখন মন্ত্রী, এমপি, মেয়র এমন কেউ নেই, যে কিনা চাঁদপুর শহরবাসীর দুঃখকে নৈকট্য অনুভবে দূর করার উদ্যোগ নিতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, তদবিরে তকদির ফেরে। যে বিষয়ে তদবির নেই, সেটি ক্রাইয়িং নীড হলেও তাতে বরাদ্দ প্রাপ্তি ঘটে না। এ দেশে কারো কারো ক্ষমতার ব্যবহারে ও আঞ্চলিকতার দুর্বলতায় অনেক অসাধ্য সাধন হবার অসংখ্য নজির আছে। এমন বাস্তবতায় আমলাদের মধ্য থেকেই চাঁদপুরকে আপন ভেবে কাউকে না কাউকে ভূমিকা রাখতে হবে অথবা রাখার ব্যাপারে উদ্দীপ্ত করাতে হবে। এছাড়া গত্যন্তর আছে বলে মনে হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়