হাজীগঞ্জে বিএনপি নেতাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

হাজীগঞ্জের যুবদল নেতা ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অসত্য ও ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার ‎(৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সাল হোসাইন ও পৌর বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান।

শুক্রবার (‎৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত সংবাদকে ‘মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে জানানো হয়।

‎ সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিপক্ষরা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।

মিজানুর রহমান সেলিম আরো বলেন, বনফুলের জায়গা প্রকৃত মালিকের কাগজপত্র দেখে ক্রয় করেছি। এতে কোনো লুকোচুরি নেই। মূলত এ জায়গা যারা গত ১৭ বছর ধরে জবরদখল করেছে তাদের এখন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দখল বাণিজ্যের বিষয়ে উক্ত পোর্টালে যে কথাগুলো এসেছে তাও ভিত্তিহীন। এমনকি তারা আমার শখের মোটরসাইকেল চালানো নিয়েও ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে, যা মোটেই সঠিক নয়। আমি প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী। আমাকে নিয়ে একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লিপ্ত থেকে এমন ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, আমি আগামী দিনে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করবো এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য করাতে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ঐ প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন দাবি করে ফয়সাল হোসাইন ও সাইফুল হাসান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে। মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তারা।

‎সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে আয়োজকর আরো বলেন, প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা প্রকাশিত সংবাদটি অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করার আহ্বানও জানানো হয়।

‎হাজীগঞ্জে বিএনপির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তৃতীয় একটি পক্ষ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে বনফুল ক্লাবের জমির প্রকৃত মালিক শিরিন বেগম এমন সংবাদ মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমার জায়গা দখলে ছিলো। আমার কাগজপত্র খারিজ অবস্থায় মিজানুর রহমান সেলিমের কাছে জমি বিক্রি করেছি। বরং যারা আমার জায়গায় এতো বছর জবরদখল করে রেখেছে, তারাই এখন এ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে বলে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খালেকুজ্জামান শামীমের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মজুমদারের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।