প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৫, ২১:১৯
মাও. আবু নছর আশরাফীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে
চাঁদপুর শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আবু নছর আশরাফীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১২ জুন ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমীন জামে মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা সেক্রেটারী ও চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে জনগণের মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী ১১ জুন বুধবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা কচুয়া উপজেলার ১০নং গোহট ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে কতিপয় সন্ত্রাসী হামলায়। এ হামলায় প্রমাণ হয় ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও তার দোসররা এখনো নির্মূল হয়নি বরং তারা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে আছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাড. শাহজাহান খান। সেক্রেটারী বেলায়েত হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাও: আফসার উদ্দিন মিয়াজী। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি মহরম আলী, শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম সবুজসহ জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশের মানুষ একটি শান্তিপ্রিয় সমাজব্যবস্থার আশা করে আছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু নব্য সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে দেশের মানুষকে নানাভাবে যন্ত্রণা দিচ্ছে ও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে আরো বেশি সজাগ সচেতন থেকে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদাত্ত আহ্বান জানান বক্তারা। তারা বলেন, সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না কেনো তাদের গ্রেপ্তার করে শায়েস্তা করতে হবে। নচেৎ শান্তিপ্রিয় জনতা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।
এদিকে এই হামলার প্রতিবাদে কচুয়া উপজেলার রহিমানগরে, সাচারে, কচুয়া পৌরসভায় এবং হাজীগঞ্জেও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।