রবিবার, ০৮ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫, ০৩:১৫

রমজানে নির্বাচন নয়: প্রধান উপদেষ্টার সময়সূচিতে আপত্তি বিএনপির!

এপ্রিলের গরম, ঝড়-বৃষ্টি ও রোজার কারণে নির্বাচনী কার্যক্রম 'অবাস্তব ও অমানবিক' বলে মনে করছে বিএনপি

মো. জাকির হোসেন
রমজানে নির্বাচন নয়: প্রধান উপদেষ্টার সময়সূচিতে আপত্তি বিএনপির!
ছবি : সংগৃহীত

"জাতির প্রত্যাশা ভেঙেছে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা" — মির্জা ফখরুল

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘিরে আবারো রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা। ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এই ঘোষণাকে "অবাস্তব, অবিবেচক এবং ধর্মীয় সংবেদনশীলতার প্রতি অশ্রদ্ধাশীল" বলে চিহ্নিত করেছে অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

বিএনপি মনে করে, রমজান মাসে কোনোভাবেই নির্বাচন কার্যক্রম চালানো উচিত নয়। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,

“ঈদের ছুটির পর আমরা যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পরপরই বিএনপি লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকে। সভায় ঘোষণাকে "জনগণের আকাঙ্ক্ষা-বিচ্যুত" আখ্যা দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এই ঘোষণায় জাতি হতাশ হয়েছে। এপ্রিলের প্রচণ্ড গরম, ঝড়বৃষ্টি, পাবলিক পরীক্ষা এবং রমজানের কারণে নির্বাচন হওয়া অসম্ভব ও অনৈতিক।”

তিনি আরও বলেন, “রমজানের সময় কেউ প্রচারণা করতে পারবে না। আর রোজা রেখে কীভাবে প্রার্থীরা ভোটের জন্য ঘুরবেন? জনগণও তখন ব্যস্ত থাকেন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে। এ সিদ্ধান্ত গভীর চিন্তার অভাবেই নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।”

বিএনপি বলছে, এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিলে অন্তত তিনটি বড় সংকট সৃষ্টি হবে— ১. প্রচণ্ড গরম ও ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম,

২. রমজানে ধর্মীয় ব্যস্ততা,

৩. রোজার পরপরই পাবলিক পরীক্ষা।

দলটির একজন নির্বাচনী নেতা বলেন, “এপ্রিলের সময়টা রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক উভয় দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও রোজার মধ্যে দায়িত্ব পালনে অসুবিধা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে ‘সরকারের একটি ছলচাতুরি’ বলেও ব্যাখ্যা করছে বিএনপি।

তাদের মতে, “এই সিদ্ধান্ত সরকারের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত এবং নির্বাচনের প্রকৃত স্বচ্ছতা নস্যাৎ করতে নেওয়া একটি চতুর পদক্ষেপ।”

আপাতত বিএনপি কোনো বড় কর্মসূচি ঘোষণা করছে না। বরং ঈদের পর ১২-দলীয় জোট ও অন্যান্য সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।

জৈনিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,

“বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ধর্মীয় অনুভূতি, আবহাওয়ার বাস্তবতা এবং শিক্ষাব্যবস্থার সময়সূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রমজানে নির্বাচন দিলে ভোটারদের অংশগ্রহণ ব্যাহত হতে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়