প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১৫:৫৪
সাহিত্য একাডেমীর নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের লেখকদের মানববন্ধন

সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর-এর নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে জেলার সর্বস্তরের লেখক সমাজ। বৃহস্পতিবার
|আরো খবর
(১৫ মে ২০২৫) বেলা ১২টায় চাঁদপুর শহরের জোড় পুকুর পাড়স্থ সাহিত্য একাডেমীর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহিল কাফী, একাডেমীর সাবেক নির্বাহী সদস্য, প্রবীণ লেখক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কবি-গল্পকার- প্রাবন্ধিক কাদের পলাশ, চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সাবেক সভাপতি, কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক, একাডেমীর সাধারণ সদস্য, কবি ও গল্পকার নুরুন্নাহার মুন্নি, একাডেমীর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য কবি ও সম্পাদক ম. নূরে আলম পাটোয়ারী, একাডেমীর সাধারণ সদস্য ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কবি আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, একাডেমীর সাবেক অডহক কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি আশিক বিন রহিম, একাডেমীর সাধারণ সদস্য, কবি ও গীতিকার কবির হোসেন মিজি।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরো যারা ছিলেন, তারা হচ্ছেন : একাডেমীর সাধারণ সদস্য মুখলেসুর রহমান ভূঁইয়া, সুমন কুমার দত্ত, পলাশ দে, আতিকুর রহমান রুবেল, আরিফুল ইসলাম শান্ত, এএম সাদ্দাম হোসেন, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী নূরে আলম, লেখক ও সাংবাদিক বিল্লাল ঢালী, এইচএম নিজাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর-এর সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে। এই সভায় সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন করা হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুরের লেখকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। অথচ দু-একজন ব্যক্তি এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যাচার করছে। তারা জেলা প্রশাসনের এই সুন্দর প্রয়াসকে বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
বক্তারা আরো বলেন, মূলত তাদের ক্ষোভ হলো সাহিত্য একাডেমীর সদস্য হতে না পারা। গত এক বছর পূর্বে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সকল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সদস্য আহ্বান করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এক লেখক অপর লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সাধারণ সদস্য করেন। পাশাপাশি যারা অলেখক তাদের সদস্য পদ বাতিল করেন। পরবর্তীতে সাধারণ সভা আহ্বান করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। এখন যারা একাডেমীর নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কেউ তখন সদস্য হওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। এখন নির্বাচনের উৎসব দেখে গাত্রদাহ থেকে তারা মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মানববন্ধন থেকে লেখকরা দীর্ঘদিন পর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সভা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আয়োজন করায় জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।