বীমার মেয়াদ শেষেও দাবি পরিশোধ না করায় লক্ষ্মীপুরে পদ্মা লাইফ ইন্সরেন্সের এমডি, চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নামে মামলা

লক্ষ্মীপুরে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে মেয়াদ শেষ হলেও শত শত গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করা নিয়ে টালবাহানা ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) হটলাইনে একাধিকবার গ্রাহকেরা অভিযোগ দেওয়ার পরও সাড়া মিলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘ দিন ধরে মেয়াদ শেষে বীমা দাবি পরিশোধ না করেই হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেছে এক গ্রাহক। সোমবার দুপুরে (৪ আগস্ট ২০২৫) সদর উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের পুত্র রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ডিএমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ যে, এর আগে মো. শাহজাহান নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

মামলার বাদী রবিউল ইসলাম জানান, আমিসহ আমার পরিবারের ৫ সদস্যদের ৩ লাখ ১৫ হাজার জমা হওয়ার পর প্রায় ৩ বছর শেষ হতে চলেছে এখনো টাকা দেননি কোম্পানীর লোকজন। তাদের লক্ষ্মীপুর ও মান্দারী অফিস বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোবাইল বন্ধ। ইতোমধ্যে কোম্পানীকে উকিল নোটিস দিয়েছি, তবুও কোম্পানী টাকা দিচ্ছে না। বার বার সময় চেয়ে হয়রানি ও প্রতারণা করেছে আমিসহ অনেকের সাথে। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো আদালতের কাছে।

লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী মহসিন কবির মুরাদ ও রেজাউল ইসলাম খান বলেন, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লক্ষ্মীপুরে অনেক গ্রাহকের মেয়াদ শেষেও টাকা দিচ্ছে না। আমরা অনেক গ্রাহকের পক্ষ থেকে একাধিবার উকিল নোটিস করার পর তারা টাকা দেয়নি সময় চেয়ে বার বার প্রতারণার পর রবিউল ইসলাম নামে গ্রাহক বাদী হয়ে মামলা করেছে।

এ দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের একতা সুপার মার্কেটের চতুর্থ তলায় বীমা কোম্পানীটির কার্যালয়ে গেলে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় বাইরে কোম্পানীর নামে কোন সাইবোর্ড দেখা যায়নি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একটি বীমা কোম্পানীর ম্যানেজার বলেন, পদ্মার কার্যালয় বাগবাড়ি এলাকায় ছিল। সেখান থেকে একতা সুপার মার্কেটে এসেছে। কিন্তু তাদের অফিস খুলতে কখনো দেখা যায়নি। দায়িত্বরত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও বক্তব্য জানা সাড়া পাওয়া যায়নি।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়ার সাথে অফিশিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।