শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ফেরা

মোঃ জসীম উদ্দীন
ফেরা

পরিবারের সেই মেয়েটি আসলো ফিরে ঘরে,

বছর তিন আগে যে গেল স্বামীর হাত ধরে।

বিদায়বেলা কাঁদে তখন পরিবারের সবে,

ছোট মেয়েটি বিয়ে দেয়ার যোগ্য হলো কবে!

সবে তখন কাঁদে যখন, ছিল অনেক সুখ,

ভালো জামাই পেয়েছে মেয়ে ছিল না বেশি দুখ।

রাঙ্গাশাড়ী ঘোমটাটানা চোখে জলের ধারা,

আপন করা কঠিন কাজ অচেনা লোক যারা।

একটি লোক আপন করে ছাড়ে আপন যত,

বিয়ের পরে স্বামীর বাড়ি আপন করে কত।

আসছে চলে এই রকম এটাই হয় রীতি,

কতজনকে ছাড়ে ললনা, পেতে স্বামীর প্রীতি।

সেই মেয়েটি না পেল সুখ, শ্বশুরগৃহে গিয়ে,

রাত্রিদিন খোঁটায় থাকে, ‘দিলো বিয়ে কী দিয়ে?

দিলো বিদায় বাপ-মায়েতে নেই তাদের লাজ,

দেখনা চেয়ে এমন মেয়ে কী পরেছিল সাজ’।

কয়েক ভরি স্বর্ণ আর নগদ কিছু টাকা,

দিলে কিন্তু মেয়ের দোষ সব পড়তো ঢাকা।

পড়ল ঢাকা কিন্তু সব সেটা মেয়ের গায়ে,

কাফনেমোড়া শরীর তাঁর কাঁদছে বাপে-মায়ে।

আগে যখন কেঁদেছিল মা মিশানো ছিল সুখ,

বাবা-মায়ের কাঁদা এবার ফাটলো বুঝি বুক।

দুজনেরই মনেতে পড়ে পুরনো কথা যত,

শিশুকালের গলাজড়ানো মধুর স্মৃতি শত।

টাকা না পেয়ে পিটিয়ে মারে নিজের বধূটাকে,

হাতটা ধরে জীবনসাথী কবুল করে যাকে।

রাঙ্গাশাড়ি পরনে যার যায় স্বামীর বাড়ি,

কাফনে মোড়া শরীরে দিলো সবার সাথে আড়ি।

লাল রঙের মেহেদি হাতে যে তরুণীটি গেল,

সারাশরীরে লালের ছোপ আবার ফিরে এলো।

মেহেদি আর ছিল না হাতে সারা শরীরে ভরা,

মেহেদি ছাড়া লাল রঙের আসলো ফিরে ত্বরা।

শ্বশুরবাড়ি মারটা খেলো রক্ত হলো বের,

মেহেদি ছাড়া রঙিন হলো সারাশরীর ফের।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়