বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২:১৬

ধনাগোদা নদীর ভয়াল রূপ! হুমকিতে বেড়িবাঁধের বড়ো স্থান

চাঁদপুর কন্ঠ রিপোর্ট
ধনাগোদা নদীর ভয়াল রূপ!  হুমকিতে বেড়িবাঁধের বড়ো স্থান

মতলব উত্তরে ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের স্থায়ী বাঁধের একটি অংশ ধনাগোদা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক।

বুধবার (৬ আগস্ট ২০২ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারের পানির আঘাতে নদীর পানির ঢেউয়ে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন আমিরাবাদ বাজারের পূর্ব দিকে তিনশ' মিটার ও জনতা বাজারের পশ্চিম দিকে দুশ' মিটার এখন ভাঙ্গনের মুখে। এ এলাকায় বাঁধ সংলগ্ন ধনাগোদা নদীর গভীরতা অনেক বেশি ও ঘূর্ণি স্রোত প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে যে কোনো মুহূর্তে সেচ প্রকল্পের স্থায়ী বাঁধটির উক্ত স্থান ভেঙ্গে যেতে পারে। ফলে প্রকল্পের অভ্যন্তরের ঘর বাড়ি, বিস্তীর্ণ জনপদ, সরকারি বেসরকারি নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

প্রায় ১০/১১ বছর আগে ভাঙ্গনরোধে ওইসব স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে প্রাথমিকভাবে তা রক্ষা করে। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই স্থানের ব্লক ও জিও ব্যাগ ধনাগোদা নদীতে হারিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সদস্য ও স্থানীয় অধিবাসী মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন জানান, ইতঃপূর্বে বাঁধের পাশে যখন ভাঙ্গন শুরু হয় তখন আমরা এখানে এসে পাহারা দেই। তিনি জানান, এই স্থানে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

আমিরাবাদ বাজারের পশ্চিম দিক লাগোয়া মেঘনা নদী আর পূর্বদিকে ধনাগোদা নদী। দু নদীর সংযোগ স্থলে এখন জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ওইসব স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম শাহেদ বলেন, বিষয়টি পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।পানি বাড়ার কারণে বাধঁটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাঁধ সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়