প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ০০:১৭
হাসপাতালে একদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকে পাঁচ শ'
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চারদিনে দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ। গত চারদিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে। শয্যা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজনসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১০ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। শয্যা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে রোগীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ আগস্ট শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট রোগী ভর্তি ছিলো ১১১ জন। এদিন সারাদিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২৮ জন। ৮ আগস্ট শুক্রবার ভর্তি ছিলো ৯৬ জন, নতুন করে ভর্তি হয় ৩৫ জন।
৯ আগস্ট শনিবার ভর্তি ছিলো ১০৯ জন, সারাদিনে নতুন ভর্তি হয় ৩৮ জন। ১০ আগস্ট ভর্তি ছিলো ১০৭ জন, সারাদিনে ২৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানান শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সরা। হিসেব করে দেখা গেছে, ৪ দিনে সর্বমোট ১২৬ জন শিশু রোগী নতুন করে ভর্তি হয়েছে এবং এই ৪ দিনে সর্বমোট শিশু রোগী ভর্তি ছিলো ৫৪৯ জন।
এসব রোগীর মধ্যে ৬ মাস থেকে এক-দেড় বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি এবং তারা জ্বর, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।
সরজমিনে দেখা গেছে, রোগীর চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবক'টি শয্যা পরিপূর্ণ হয়ে মেঝেতেও রোগীদের জন্যে বিছানা পাতা হয়েছে। এছাড়া দেখা গেছে অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যেতে। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। একইভাবে অসুস্থ হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধরাও। বিশেষ করে ঘরে ভাইরাস জ্বরে বৃদ্ধদের সাথে শিশুরাও হঠাৎ জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই গত বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে শিশু রোগীর প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।