প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৫
চাঁদপুর পৌর ৮নং ওয়ার্ডে খেলাফত মজলিসের দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী গণসংযোগ
নির্বাচিত হতে পারলে চাঁদপুরবাসীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবো
------------------তোফায়েল আহমদ

চাঁদপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) এ গণসংযোগে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মাওলানা তোফায়েল আহমেদ (দেয়াল ঘড়ি প্রতীক) জনতার ভালোবাসা ও সমর্থনে অভিভূত হয়ে দীর্ঘসময় ধরে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণসংযোগে আসা জনতার উদ্দেশ্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ দেশকে দুর্নীতি, লুটপাট, বৈষম্য ও অবিচারের খপ্পর থেকে মুক্ত করতে হলে ইনসাফভিত্তিক নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের ভোটের আমানত রক্ষা করা, বঞ্চিত মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং চাঁদপুরকে সুশাসন ও উন্নয়নের মডেল জেলায় রূপান্তর করাই হবে আমার প্রথম কাজ।
তিনি আরও বলেন, অনেক প্রতিশ্রুতি শুনে দেশের মানুষ আজ ক্লান্ত। এখন তারা বাস্তব পরিবর্তন চায়, ন্যায়ের পক্ষে শক্ত অবস্থান চাই। আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই—এ আসনের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গড়াই আমার রাজনীতির উদ্দেশ্য। ক্ষমতা নয়, প্রকৃত জনসেবাই হবে আমার পরিচয়।
গণসংযোগে স্থানীয় জনগণ প্রার্থীকে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। তা হলো : নাগরিক সুবিধার সংকট, সড়ক উন্নয়ন, যানজট নিরসন, পানি-বিদ্যুতের জটিলতা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার দুরবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিশ্রুতি দেন যে, জনগণের আস্থা পেলে এসব সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মাওলানা ক্বারি ইয়াসিন, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সহ-সেক্রেটারি ফারুক মুহাম্মদ নোয়াইম, জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনির হোসেন শিপন, শহর শাখার সভাপতি সুলতান আহমেদ, শহর নির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান, ছাত্র নেতা রাফিউর রহমান রাফি, মোহাম্মদ ইয়াকুব প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের জেলা ও শহর শাখার নেতৃবৃন্দ বলেন,
চাঁদপুরের রাজনীতিতে শুদ্ধতার সূচনা করতে হলে যোগ্য, সৎ ও আমানতদার নেতৃত্বকে বিজয়ী করতে হবে। তোফায়েল আহমেদ সেই যোগ্যতার প্রতিনিধিত্ব করেন।
গণসংযোগে হকার্স মার্কেট এলাকার মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনতা আবারও ন্যায়, ইনসাফ ও সৎ নেতৃত্বের পথে সমবেত হচ্ছে।
কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় নেতৃবৃন্দ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামীতেও এমন স্বতঃস্ফূর্ত জনসমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।








