প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪৭
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে শাহরাস্তিতে জামায়াতের গণমিছিল
জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রশ্ন না তুলে নিজেদের কাজ করুন ..... অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন

শাহরাস্তিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌরসভার উদ্যোগে জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) উপজেলার মেহের কালীবাড়ি মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য গণমিছিল উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সেক্রেটারি, শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর-৫) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিগত সরকার সাড়ে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে জামায়াতে ইসলামী সহ এ দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা, গুম, খুন, লুটতরাজ শুরু করে দিয়েছিলো। তার প্রেক্ষিতে সাধিত হয় জুলাই বিপ্লব। জুলাই বিপ্লব সাধারণ ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। এই জুলাই বিপ্লব অক্ষুণ্ণ রাখতে জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু দলের কোনো কোনো নেতা জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ বিষয় যেমন বায়তুলমাল, নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ সম্বন্ধে প্রশ্ন তুলছেন। আমরা ঐ দল ও নেতার নাম ধরে কথা বলতে চাই না। জামায়াত যেই গতিতে এগোচ্ছে, সেই গতিতেই এগোবে। তাঁরা ভুলে গেছেন, অতীতের একটা ক্ষমতাসীন শক্তি জামায়াতের পেছনে লেগে জামায়াতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছে স্বৈরাচার। এদেশের মানুষ আর স্বৈরাচার দেখতে চায় না। জামায়াতের বিরোধিতা করে যারা স্লোগান দিচ্ছেন, তারা দলীয় পদ হারাবেন। তাদেরকে দল থেকেও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারো বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে লাভ নেই, নিজের স্লোগান নিয়ে নিজে এগিয়ে যান।
|আরো খবর
শাহরাস্তি পৌর আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় ও উপজেলা আমীর মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর বাদশা ফয়সাল, সেক্রেটারি প্রভাষক মাও. মাঈন উদ্দিন, পৌর নায়েবে আমীর মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি প্রভাষক মাও. আলমগীর হোসেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে মাও. মকবুল হোসাইন, ডা. আবুল বাশার, আব্দুল আউয়াল, মাস্টার সালাউদ্দিন গাজী, ডা. জাকির হোসেন, মাও. জালাল হোসাইন, মাও. মাছুম বিল্লাহ, শাহ আলম ভূঁইয়া, প্রভাষক মাও. আমিনুল ইসলাম, হা. মাও. সাব্বির আহমেদ ওসমানী, পারভেজ হোসাইন, জামায়াত নেতা মাও. ওবায়েদুল হক, সহকারী অধ্যাপক মাও. হেদায়েত উল্লাহ, মাও. আবু সালেহ মোহাম্মদ, মাও. রুহুল কুদ্দুস, ইকবাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম মেম্বার, মাও. সাইফুল ইসলাম, মাও. মঞ্জুর হোসাইন, মাও. মিজানুর রহমান, হাফেজ মাও. মাহফুজুর রহমান বুলবুলি, জিহাদুল ইসলাম শামীম, শিবির নেতা আক্তার হোসেন শিহাব, সাইফুল ইসলাম, কাউছার আলমসহ ওলামা, যুব, শ্রমিক, ছাত্র সংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।