বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৭

মতলব উত্তরে ৩৭৫ কেজি, অন্যত্র কতো?

অনলাইন ডেস্ক
মতলব উত্তরে ৩৭৫ কেজি, অন্যত্র কতো?

মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে খাস, সরকারি, আধা-সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয় ও মুক্ত জলাশয় ধনাগোদা নদীতে ৩৭৫ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে সোমবার (২৫ আগস্ট ২০২৫) সকালে এসব পোনা বিতরণ করা হয়। এসব জলাশয়ের মধ্যে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাদুল্লাহপুর মাদ্রাসা, লুধুয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পুকুর এবং ধনাগোদা নদীর শিবপুর ঘাট। মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আলম লাভলুসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়গুলোতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্থানীয়দের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মতলব উত্তরের ন্যায় চাঁদপুরের অন্য সাতটি উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেসব উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কী পরিমাণ মাছের পোনা অবমুক্ত করা হলো, সেটা গণমাধ্যমের কাছে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি। এতে স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে বলে মনে করছি।

ভাঙ্গন প্রতিরোধে নদীতে পাথর ও ব্লক ফেলার মধ্যে যেমন শুভঙ্করের ফাঁকি আছে, তেমনি জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মধ্যেও আছে। এটা খতিয়ে দেখে না কেউ। এমন কাজে কতো টাকা সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেলো, আর কতো টাকা খরচ করা হলো, সেটা নিয়ে কেউ ভাবতে চায় না, ভাবার প্রয়োজনবোধও করে না। সে কারণে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য অবমুক্তকরণ খাতে দুর্নীতি যে হয়, সেটা সহজেই আন্দাজ করা যায়। এ ছাড়া আরো কিছু ক্ষেত্রে এ অধিদপ্তরের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। এ দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পদক্ষেপ গ্রহণ বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়