মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১৮

মেঘনায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা, ১০টি ড্রেজার অপসারণ

তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
মেঘনায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা, ১০টি ড্রেজার অপসারণ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু দস্যু চক্র। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি, স্কুল ও বাজার। একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। অপরদিকে রোববার বিকালে (৩১ আগস্ট ২০২৫) রায়পুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চরঘাসিয়া ও চর ইন্দুরিয়া গ্রামে ১টি ড্রেজার জব্দ, ১টি বিনষ্ট ও ৫টি ড্রেজারের প্রায় ১০০০ ফুট পাইপ বিনষ্ট এবং ১০টি ড্রেজার মেশিন অপসারণ করা হয়।

মেঘনার তীরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের মোল্লারহাট, চরকাছিয়া, মিয়ারহাট, চান্দারখাল ও হাজিমারা স্লুইস গেইট এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীর প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে অন্তত ২০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসানো রয়েছে।

প্রতিনিয়ত সেগুলোর মাধ্যমে বালু উত্তোলন চলছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে পরিবর্তন ঘটছে এবং তীরবর্তী ফসলি জমি, বসতঘর ও বাজার ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসলেও দু-একটি অভিযান চালানো হলেও বালু দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

গ্রামবাসীরা জানান, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত চরবংশী ইউনিয়নের বালু দস্যু মো. পলাশ, রাসেল খলিফা, মহিউদ্দিন সোহাগ, গফুর মোল্লা, শিমুল হাওলাদার, সুমন বেপারী, মিন্টু মোল্লা ও হুমায়ুন কবিরসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য ও বিভিন্ন পদে রয়েছেন। এক সময় আওয়ামী লীগের নেতারা ড্রেজার মেশিনগুলো নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে সেগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দখলে আছে। বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত মহিউদ্দিন সোহাগ বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি নেই। তবে মানুষের প্রয়োজনে নদী থেকে বালু তুলতে হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নিগার সুলতানা এ প্রতিবেদককে বলেন, রোববার বিকেলে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চরঘাসিয়া ও চর ইন্দুরিয়া গ্রামে ১টি ড্রেজার জব্দ, ১টি বিনষ্ট ও ৫টি ড্রেজারের প্রায় ১০০০ ফুট পাইপ বিনষ্ট করা হয়। অভিযানে ১০টি ড্রেজার মেশিন অপসারণ করা হয়। এর আগেও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওইসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়