শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে কচুক্ষেত থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩২

গোমতী নদীর তীরে একদিন

আজিম উল্যাহ হানিফ
গোমতী নদীর তীরে একদিন

দিনটি ছিল শুক্রবার। ২২ আগষ্ট ২০২৫। রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা মহানগরের উদ্যোগে কুমিল্লা শহরের পালপাড়া ব্রীজ, গোমতী রেলব্রীজ, আড়াইওরা মন্দির, গোমতী নদীর পাড় অর্ধদিন ট্যুর এবং বৃক্ষরোপণের আয়োজন করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ৭টার দিকে নাঙ্গলকোট আমার নিজ বাসা থেকে রওয়ানা হয়ে নাঙ্গলকোট বাসস্ট্যান্ড থেকে কুমিল্লা সুপার বাসে উঠি। টমছমব্রীজের আগেই নামার জন্য হঠাৎ মুঠোফোনে কল করেন রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা মহানগরের ২০২৫-২৬ সেশনের প্রেসিডেন্ট রাব্বী খন্দকার হৃদয়। তারই কথা মত নামলাম মর্ডাণ হসপিটালের সামনে। তারপর মর্ডান হসপিটালের উত্তর পাশে থাকা নার্সারী থেকে দেখে দেখে প্রায় ৩০টির মত রজনীগন্ধা, শিউলি, জবাসহ নানান জাতের ফুলের চারা ক্রয় করলাম। এরই মাঝে আমাদের সাথে যুক্ত হলেন ক্লাবের পিপি পিন্টু চন্দ্র সরকার। ফুলের চারাগুলো নিয়ে আমরা তিনজন একসাথে একটি অটোভাড়া করে সোজা রওয়ানা হলাম কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া, কুমিল্লা শহরের দুঃখ নামে খ্যাত গোমতী নদীর তীরে। সেখানে গিয়ে দেখি আগের থেকেই উপস্থিত আছেন আমাদের ক্লাবের সদস্য সুমাইয়া হিমি ও প্রিয়ন্তু। এরই মাঝে আমাদের সাথে যুক্ত হলেন ক্লাবের চার্টাড প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক স্বদেশ জার্নালের সম্পাদক নয়ন দেওয়ানজী দাদা। এরপর একে একে আসলেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। বিশেষ করে শান্ত দেবনাথ। আড়াইওরা মন্দিরের কয়েকজনও আমাদের সাথে যুক্ত হোন, আমাদের মানবিক ও সামাজিক কাজগুলো তাদের মুগ্ধ করে ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে বৃক্ষরোপণ। সেই সাথে শুক্রবার হিসেবে মুসলিমদের জুমার দিন। ক্লাবের পূর্ব নির্ধারিত স্থান আড়াইওরা মন্দির, পালপাড়া ব্রীজ, রেলব্রীজ আর গোমতী নদী উপভোগ শেষে আমরা আমাদের প্রধান কাজ বৃক্ষরোপন নানান জায়গায় লাগালাম। জুমা নামাজের আগেই আমরা বিদায় নিতে হবে। বিদায়ের মূহূর্তে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে অনেকখানি আনন্দ জোগালেন ক্লাবের সকলের প্রিয় ও চার্টাড প্রেসিডেন্ট নয়ন দেওয়ানজী দাদা। তারপর হাঁটতে হাঁটতে আমরা রেলব্রীজ ওপাশে গিয়ে ক্ষুধার্ত হলে, সবাইকে নয়ন দেয়ানজী দাদা পেয়ারা খাওয়ান। তারপর বিদায়ের পালা। বিদায়ের মূহূর্তে অটো ভাড়া করে সবাই একসাথে কান্দিরপাড় নজরুল এভিনিউ এসে বিদায় নিই। দিনটি সত্যিই সবার কাছে অতুলনীয় ছিল, সেই সাথে দিনটি স্মরণ রাখার মত ছিল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়