প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৪
বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গোপন সমঝোতার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে সড়কের পাশের গাছ অবাধে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

বিশালাকৃতির সরকারি গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রাস্তার পাশে এখন পড়ে আছে গোড়ার অংশ। এতে প্রাণ হারাচ্ছে প্রকৃতি, সরকার বঞ্চিত রাজস্ব থেকে। সরেজমিন পরিদর্শন করেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা বন বিভাগ। ফরিদগঞ্জে সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছগুলো এভাবেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে বন কর্মকর্তা গোপনে সমঝোতা করে নিচ্ছেন ওই সব দুর্বৃত্তদের সাথে।
|আরো খবর
ফরিদগঞ্জের চতুরা মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের দক্ষিণ পাশে পুরাতন সড়কের পাশে থাকা সম্প্রতি কর্তন হওয়া বেলজিয়াম গাছের গোড়া অবশিষ্ট রয়েছে। গাছের মূল অংশ ও ডালপালা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধা জিন্নতের নেছা, যুবক জুনায়েদ হোসেন ও কলেজ শিক্ষার্থী শাহজাহানসহ আরো কয়েকজন বলেন, অনেক বড়ো মাপের এই গাছটি অনেক সুন্দর দেখা যেতো, কারা যেন গাছটি কেটে নিয়ে গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমরা প্রথমে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে খবর দেই। তারা বলেন, এ গাছগুলো বন বিভাগের। পরে বন কর্মকর্তাকে জানালে তারা এসে তদন্ত করে গেছেন, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আরো কয়েকটি গাছ এভাবে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সড়কের পাশ থেকে। আমরা মনে করি, বন কর্মকর্তার সাথে গোপন সমাঝোতার কারণে তারা দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমনটি চলতে থাকলে প্রকৃতি যেমন করে হারাবে ভারসাম্য, অবৈধভাবে এ গাছ লুটপাটের কারণে সরকার হারাতে থাকবে রাজস্ব।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কের পাশের অনেক গাছ এভাবেই লুটপাট হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার গাজীপুর বাজারের পাশেই বিশালাকৃতির কিছু গাছ বন কর্মকর্তার গোপন সমঝোতার মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী (বোট ম্যান) মাসুদ আলম বলেন, চতুরা এলাকায় গাছ কাটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। গাছ কাটা নিয়ে যাওয়ার বিষয় সত্য। বাকি বিষয়টি স্যারে বলতে পারবে।
উপজেলা বন কর্মকতার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গাছ চুরির বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, সরকারি গাছ অনুমতি ব্যতিরেকে কর্তন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।