সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৬

খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব : নোয়াখালীতে যুবদল কর্মীর গুলিতে জামায়াতের ২ কর্মী গুলিবিদ্ধ

খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব : নোয়াখালীতে যুবদল কর্মীর গুলিতে জামায়াতের ২ কর্মী গুলিবিদ্ধ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদলের এক কর্মীর গুলিতে জামায়াতের ২কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট ২০২৫) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। এর আগে, রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকানের সামনে তারা গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন : মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা দুজনই গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সদস্য এবং একই এলাকার বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে ও জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মী রাসেলের সাথে বিএনপির কর্মী মানিকের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মীদের ধরতে পুনরায় তল্লাশি চালায় তারা।

বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্যে স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মী সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাবো।

ওসি লিটন দেওয়ান আরও বলেন, স্কুলের ভবনের ছাদের ওপরে উঠে, ভালো ভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিলো, খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠকে বসে মিটমাট করে দেয়। যাতে আর কোনো সমস্যা না হয়। কিন্তু বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছে একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সাথে কথা বলতে পারি নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়