প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৭
দেবদাস কর্মকারের কবিতা
কাজল সন্ধ্যায়
হঠাৎ বৃষ্টি থেমে গেলে লাজুক কদমের গাল বেয়ে
ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুপাত হয়
উঠানের পাশে কাজলদিঘি তার স্বচ্ছ কালো জল
সেখানে নীল তারার আকাশ আয়নার মতো ভাসে
কলমীর বনে ঢেউ তুলে অদ্ভুত আলো আঁধারের খেলা
কোনো এক গোপন পৃথিবী অজ্ঞাত অনন্ত অতীত
বিষাদ স্বপ্ন সুখ, কতো কতো আগামীকাল ।যখোন হঠাৎ তছনছ হয় মানচিত্র সকল ভাস্কর্য পট
দরজায় কড়া নাড়ে কালো অদ্ভুতুরে বিকট শব্দ
বাড়ির আনাচে কানাচে শুধু আগাছার দঙ্গল
রোরুদ্যমান চারিদিক বিজয় কোথায় বিজয় কোথায়?মুক্তি লুকিয়ে থাকে চৌহুদ্দির আশেপাশে অভিমানে
শকুনেরা টের পায় তাজা রক্ত গন্ধের
অবরুদ্ধ দরজা খোলে না আর, শত বছর কেটে যায় পণ্ড শ্রমে
গভীর আঁধারে নিরিবিলি রাতে কাজল দিঘির স্বচ্ছ জলে
তখোন নীল তারার আকাশে মুক্তি আয়নার মতো ভাসে।১৫ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা , ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২
গেঁথে আছে একটি কুসুম
তোমার গোলাপ গুলো আমি নিতে পারিনি
অলকানন্দার ঝোঁপের ভেতরে ভিন্ন গভীর অন্ধকার
নিদারুণ পাতাল ছায়া তোমার চোখের আশ্রয়ে
শ্রাবণের বৃষ্টির ছাট জানালায়, তোমার গাল বেয়ে নেমে গেছে একটি ঝিলিক নদী
করপুটে নুয়ে থাকা মাথা, গভীর চুল আঁকড়ে ঢেকে আছে নিবিড় রোমাঞ্চকর যৌবন।বিপুল বিষণ্ন নারী যে দুঃখটুকু দিয়েছিলে ধার
এক জনমে সেই ঋণ জমে জমে কতোটা কাঙ্গাল,
যখোন ভীষণতর নীরবতা, তখোন গোধূলি বেলা
দূরত্ব মানেই দূর নীলিমা, প্রবাহিত সমুদ্রের ঢেউ
শীতল দিঘির পাড়ে যেন অনন্তকাল বসে আছি
আবার যদি একটি গোলাপ দাও
মনের অলিন্দে যখোন দুর্দান্ত দুর্যোগ
কতো প্লাবিত কোলাহল উদ্ধত শ্লোগান, আতঙ্ক
চক্রান্তের বিকিরণে যখোন পিছলে যায় রোদ
চোখ তুলে দেখি তুমি সেই বিষণ্ন বকুলতলায়
তোমার শরীর গ্রন্থিতে গেঁথে আছে একটি কুসুম ।৭ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, বর্ষাকাল।