বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৬

মেঘনায় ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় রায়পুরে নিহত বেড়ে ৩

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি।।
মেঘনায় ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় রায়পুরে নিহত বেড়ে ৩

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে দগ্ধ আবদুল গনি খাঁ (৪৫) নামের রায়পুরের আরও এক জেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট ২০২৫) ভোর ৫টার দিকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। গনি খাঁ জেলার রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশি ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া পুরাতন বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত কালা খাঁর ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেন খাঁ। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার জনের মধ্যে তিন জন মারা গেলেন।

এর আগে একই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী এবং মঙ্গলবার ভোরে ফারুক হোসেন হালদার নামে দুই জেলে মারা যান। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চরলক্ষ্মী ব্রীজঘাটের মাছ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলারে দুপুরের খাবার রান্না করার জন্যে চুলা চালু করলে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুনে আবুল খায়ের (৪০), মো. ফারুক হোসেন হালদার (৩৯), আবদুল গনি খাঁ (৪৫) ও আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী (৪২) নামের ৪ জেলে দগ্ধ হন।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উপজেলা সভাপতি আল-হেলাল জানান, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাদেরকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ৪ জনকেই ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থনান্তর করেছিল নোয়াখালী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী এবং মঙ্গলবার ভোরে ফারুক হোসেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। একই বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে আবদুল গনি খাঁ মারা যান। দগ্ধ ৪ জেলের মধ্যে এখন আবুল খায়েরও গুরুতর আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বলেন, আবদুল গনি খাঁর মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি এবং তার স্বজনরাও জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়