মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২১:২২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনে উদ্যোগ ও আগ্রহ বাড়াতে হবে

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট।।
দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনে উদ্যোগ ও আগ্রহ বাড়াতে হবে

‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি দেশি মাছে দেশ ভরি’ এ স্লোগানে সারাদেশের ন্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরেও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট ২০২৫) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেলুন উড়িয়ে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। পরে সদর উপজেলা পরিষদ পুকুরে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনসহ অতিথিরা। এরপর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন অবদান রাখায় মৎস্য চাষীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিপাদ্যের মধ্যে যে অভয়াশ্রমের কথা বলা হয়েছে, তা হচ্ছে আমাদের প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা জলাশয়গুলোতে মাছ চাষ করা এবং মাছ চাষের জন্যে নিরাপদ রাখা। নদী, খালসহ জলাশয়গুলো মাছ চাষের জন্যে এখনো আমরা নিরাপদ করতে পারছি না। আজকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, অভয়াশ্রমগুলোকে আমরা যত্ন করবো।

জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুরে নির্ধারিত অভয়াশ্রম আছে। সেটি হচ্ছে মার্চ-এপ্রিল দু মাস পদ্মা-মেঘনায় জাটকা এবং অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষার জন্যে। এই দুটি সময়ে মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত জাটকা এবং মা ইলিশসহ অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছ নিরাপদে থাকার সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তান বেড়ে ওঠার জন্যে খাদ্য প্রয়োজন। খাদ্যের মধ্যে একটি রয়েছে আমিষ। আমিষ আমরা শাক-সব্জির মধ্যে পেলেও পরিমাণ খুবই কম। আমিষ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মাছের মধ্যে। যে কারণে আমাদেরকে ইলিশ ছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনে আরো উদ্যোগ ও আগ্রহ বাড়াতে হবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর। চাঁদপুর

সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ বাবুল কৃষ্ণ ওঝা।

পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষীরা হলেন : মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষী কচুয়া উপজেলার আকতার হোসেন, রুই জাতীয় মাছ উৎপাদনে সদরের জিএম ফারুক, মনোসেক্স তেলাপিয়া ও শিং মাগুর উৎপাদনে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. মাঈনুদ্দিন, কৈ মাছ উৎপাদনে হাজীগঞ্জ উপজেলার মো. হাবিবুর রহমান, কার্প ও মনোসেক্স তেলাপিয়া উৎপাদনে শাহরাস্তি উপজেলার মো. হুমায়ুন কবির, রুই জাতীয় মাছ উৎপাদনে মতলব উত্তর উপজেলার মো. মোশারফ হোসেন।

আলোচনা সভার শেষদিকে সফল ছয় মৎস্যচাষীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিরা। সভায় মৎস্যচাষী, জেলে, জেলে সংগঠনের নেতারাসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়