বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৮

হরিজনদের জন্যে এ ফ্ল্যাটগুলো উপহারই বটে

অনলাইন ডেস্ক
হরিজনদের জন্যে এ ফ্ল্যাটগুলো উপহারই বটে

চাঁদপুর শহরে ‘নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে’ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্যে নির্মিত ৩টি আধুনিক ভবনের মোট ১৩২টি ফ্ল্যাট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে স্বর্ণখোলা এলাকায় হরিজন কলোনীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (এলজিইডি) মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টেফেন লীলার এবং ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডাউসন। চাঁদপুরে অবস্থান করে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যৌথ সচিব ও এলআইইউপিসিপি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. শামসুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যা সেলিম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা, জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, ভবনের ঠিকাদার ফারুক আহমেদ আখন্দসহ অন্য অতিথিবৃন্দ। বাংলাদেশ সরকার এবং যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়িত নগর দরিদ্র সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই তিনটি ভবনের প্রতিটিতে রয়েছে প্রায় ৪৪টি ফ্ল্যাট, যা দীর্ঘদিনের আবাসন সংকটে থাকা হরিজন সম্প্রদায়ের জন্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বাসন উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের মতে, চাঁদপুরের হরিজনদের প্রদত্ত ১৩২টি ফ্ল্যাট তাদের জন্যে বিদেশী ও দেশীয় অনুদানে উপহারই বটে। এ ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ চলাকালে স্বয়ং ব্রিটিশ হাই কমিশনারের চাঁদপুর সফর ছিলো অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। এ কাজের গুণগত মান রক্ষায় ইউএনডিপির তদারকিও ছিলো ব্যাপক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক বড়ো প্রকল্পের রাজনৈতিক ঠিকাদার পালিয়ে গেলেও চাঁদপুরে হরিজনদের এই আবাসন প্রকল্পের অরাজনৈতিক ঠিকাদার পালিয়ে যান নি। যার ফলে এ প্রকল্পটির কাজ কিছুটা দেরিতে হলেও সমাপ্ত হয়েছে। সে সুবাদে হরিজনরা তাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত ফ্ল্যাট বুঝে পেয়েছে। তাদের ফ্ল্যাটগুলো সীমিত পরিসরের, তবে পুকুর পাড়ে সুন্দর পরিবেশে ভবনগুলোর দৃশ্যপট অসাধারণ। বলতে দ্বিধা নেই, শুচিকর্মের পেশাদারদের জন্যে রুচিশীলতা রক্ষার আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। আমরা এজন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়