প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৫
চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে অপকর্মে ধরা পড়লো শিক্ষার্থী।। অতঃপর ৭ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন

চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে এসব হচ্ছেটা কি? এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে এসে কিছু শিক্ষার্থী নিজেরাই নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে । প্রেমিক-প্রেমিকাকে একই বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে নৈশ প্রহরী। পরে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের ডেকে এনে ৭ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
|আরো খবর
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) রাতে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের বাথরুমে দু শিক্ষার্থীকে একই সাথে পেয়ে কর্মরত নৈশপ্রহরী বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে শিক্ষকদেরকে খবর দেন। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসলে উভয়কে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই বাথরুম থেকে বের করে আনা হয় বলে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা জানান। অভিযুক্তরা হচ্ছে : টাঙ্গাইল জেলার ছেলে বায়েজিদ শিকদার আকাশ আর রাজশাহী জেলার মেয়ে আইরিন। এ নিয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টায় চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থী বায়েজিদ শিকদার আকাশকে ছাত্রাবাসের যমুনা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে রাখা হয় । আর তরুণীকে ইনচার্জ জয়নব বেগমের হেফাজতে রাখা হয়।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ছেলে বায়েজিদ শিকদার আকাশ চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র আর রাজশাহী জেলার আইরিন নামের মেয়েটি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বায়েজিদ শিকদার আকাশ চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির পর থেকে নিজেকে শিক্ষার্থীদের নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে। অপর শিক্ষার্থীদের সাথে সব সময় রূঢ় আচরণ করে। নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করে। জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে আসলে সেখানেও বহু অন্যায় অপরাধ করেছে বায়েজিদ।
জানা যায়, রাজশাহী থেকে পড়তে আসা এই মেয়েকে ছাড়াও চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের বেশ কিছু তরুণী শিক্ষার্থীকে ভীষণ ভাবে উত্যক্ত করেছে বায়েজিদ । যার জন্যে অপর শিক্ষার্থীরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আর তারই প্রতিফলন ঘটে ২০ আগস্ট রাতে বায়েজিদ শিকদার আকাশ ও আইরিনকে একই বাথরুমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার ঘটনায়। নৈশপ্রহরী তাদের হাতেনাতে ধরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
ইনচার্জ জয়নব বেগম জানান, আমাদের এখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই সময় আমি চাঁদপুরে উপস্থিত ছিলাম না। আমি ঢাকা থেকে ট্রেনিং শেষ করে চাঁদপুর আসছিলাম। আমাকে আমার সিনিয়র স্টাফরা মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছেন। নার্সিং ইনস্টিটিউটে এসে আমি বিষয়টি জেনেছি। আমি বলেছি ওনাদের অভিভাবকদের ডাকতে । আমি অফিসে এসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত ঘটনা জানালাম। সিনিয়র বস সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্যার ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাইফুল ইসলাম স্যারকে বিষয়টি জানাই। তারা বলেছেন, কীভাবে বিষয়টি সুরাহা করা যায় সে বিষয়ে দেখবেন। আমরা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ইন্টারনাল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা একটি কমিটি করে ধাপে ধাপে বিষয়টি নিয়ে এগুবো।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে টাঙ্গাইল ও রাজশাহী থেকে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা চাঁদপুর চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের আসলে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উভয় পরিবারকে নিয়ে বসলে সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতেই কাজী ডেকে ৭ লাখ টাকা কাবিনে ইসলামী শরিয়ত মতে বিবাহ বন্ধনে তাদেরকে আবদ্ধ করা হয়।