প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৩
নানা সমস্যায় জর্জরিত রায়পুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাত্রী ভোগান্তি

মাদকের আড্ডা ও পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। গত ৫০ বছর আগে নির্মাণ হওয়ার পর একবারও সংস্কার করা হয়নি। গত দশ বছর ধরে টার্মিনাল ভবনটি পরিত্যক্ত। নেই যাত্রী সেবার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা। খানাখন্দে ভরা শহরের প্রধান বাস টার্মিনাল। যেখানে এখনো লাগেনি আধুনিকায়নের ছোঁয়া। এতে ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকরা।
|আরো খবর
শহরের যানজট নিরসনে ১৯৯৬ সালে বাস টার্মিনাল মাঠ নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালের দিকে কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে ভবনটির এখন ভঙ্গুর অবস্থা। তবে বর্তমানে টার্মিনালটির জরাজীর্ণ দশা। প্রায় দশ বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে টার্মিনাল ভবন। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বিকল্প না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে কাজ। এছাড়াও টার্মিনালে নেই কোনো যাত্রী ছাউনি, টয়লেট এমনকি পানির ব্যবস্থা। যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপ। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
অন্যদিকে টার্মিনালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস রাখার ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার দু’পাশে রাখা হচ্ছে বাস। এতে যান চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রী ও চালকেরা।
রায়পুর-চট্টগ্রাম শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা পৌর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম নেতা বলেন, টার্মিনালে এতো পরিমাণ খানাখন্দ যার ফলে যাত্রী উঠাতে নামাতে সমস্যা হয়। তাই চালকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় বাস পার্কিং করে। আধুনিক মানের টার্মিনাল নির্মাণে পৌরসভা ও প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কাজ হয়নি।
রায়পুর পৌর প্রশাসক (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, শীঘ্রই টার্মিনালের দুর্ভোগ কাটাতে কিছু কাজ করা হবে। খুশির বিষয় হচ্ছে, টার্মিনালটিকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে একটি মেঘা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। আনুমানিক ৫ কোটি টাকার প্রজেক্ট হবে এটি, যা বরাদ্দ পেলে আধুনিক বাস টার্মিনালে রুপান্তিরত হবে পৌর বাসটার্মিনাল। ফলে দুর্ভোগ কমে সুফল পাবে যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, অভন্তরীণ রুটসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৩শ’ বাস যাতাযাত করছে এ টার্মিনাল থেকে। তাই যাত্রী ও চালকদের দুর্গোগ কমাতে, দ্রুত আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের দাবি সংশ্লিষ্টদের।