প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ২১:০২
স্বাস্থ্য কার্ড পাচ্ছেন চাঁদপুরের ১১৮ জন জুলাই যোদ্ধা

সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে স্বাস্থ্যকার্ড বিতরণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ৩৬ জেলার আহত ৪ হাজার ৫৫১ জন জুলাই যোদ্ধাকে এ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। বাকি জেলার আহতরাও পর্যায়ক্রমে এ কার্ড পাবেন। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জুলাই যোদ্ধাদের জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণের কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার প্রস্তুতকৃত স্বাস্থ্য কার্ডগুলো সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ।
|আরো খবর
গত রোববার (১ জুন ২০২৫) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনকে একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি মনোনয়ন দিয়ে তার নাম, পদবি, মোবাইল নম্বর ও স্বাক্ষরসহ তথ্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পাঠাতে হবে। এরপর সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে স্বাস্থ্য কার্ডগুলো বুঝে নিয়ে স্ব স্ব জেলায় আহত যোদ্ধাদের সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের ৩৬ জেলায় স্বাস্থ্যকার্ড যারা পাচ্ছেন : কিশোরগঞ্জের ১১২ জন, নরসিংদীর ৪৩০ জন, কুমিল্লার ১০৮ জন, চট্টগ্রামের ১৬৮ জন, ফেনীর ১০৬ জন, বরিশালের ৮২ জন, ঢাকার ৩৭৭ জন, দিনাজপুরের ৬০ জন, সিলেটের ৮৬ জন, টাঙ্গাইলের ২৫৫ জন, সিরাজগঞ্জের ১৪৩ জন, গাইবান্ধার ৩৯ জন, বগুড়ার ২৯৬ জন, লক্ষ্মীপুরের ১৬৬ জন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ১৭ জন, নীলফামারীর ৩৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২২১ জন, কুড়িগ্রামের ১৫ জন, গাজীপুরের ৩৭৫ জন, নোয়াখালীর ১০১ জন, ঝিনাইদহের ২৭ জন, নাটোরের ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের ১০০ জন, কুষ্টিয়ার ৪৩২ জন, পিরোজপুরের ১৩ জন, জয়পুরহাটের ৬ জন, ময়মনসিংহের ১৭৯ জন, রংপুরের ১১২ জন, ভোলার ৭৬ জন, চাঁদপুরের ১১৮ জন, যশোরের ১৩ জন, নওগাঁয়ের ৫ জন, মাদারীপুরের ৮১ জন এবং বরগুনার ৯৫ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানায়, স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে বা বিশেষ ছাড়ে গ্রহণ করতে পারবেন তারা। স্বাস্থ্য কার্ডের সেবা মূলত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার একটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের সারাদেশে সকল সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এ সময় গণঅভ্যুত্থানের দুই যোদ্ধা নরসিংদী ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী ইফাত হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমুর হাতে স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বাসসকে বলেন, "এই হেলথ কার্ড থাকার অর্থ হলো এক বছর পরে হোক, দু বছর পরে হোক যে কোনো সময় দেশের যে কোনো সরকারি হাসপাতালে কার্ডধারীরা চিকিৎসা পাবেন। এই কার্ড সবসময়ই থাকবে।"