বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে ঢাকা থেকে ফরিদগঞ্জে এনে আটকে রেখে গণধর্ষণ

ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন আটকে রেখে এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। টের পেয়ে স্থানীয়রা যুবতীকে ও কথিত প্রেমিককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক মামুন পাটওয়ারী (৪৪)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলী এলাকা থেকে মিরাজ পাটওয়ারী (২৪) নামে অভিযুক্ত অপর একজনকে আটক করে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের সাচিয়াখালী গ্রামের। এ ব্যাপারে ঘটনার শিকার যুবতী বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলার এজাহার ও ঘটনার শিকার যুবতী জানায়, গত এক বছর পূর্বে ঢাকার শনির আখড়া এলাকায় ওই যুবতীর সাথে অভিযুক্ত মামুন পাটওয়ারীর পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৫ আগস্ট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবতীকে মামুন পাটওয়ারী তার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিয়ে আসে। মামুন তার বাড়িতে ওই যুবতীকে আটকে রেখে টানা তিনদিন সে এবং তার অপর দু বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে।

বিষয়টি শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন মামুন ও ওই যুবতীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ ভিকটিমের অভিযোগের আলোকে অপর অভিযুক্ত চাঁদপুর শহরের ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিরাজ পাটওয়ারীকে শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) আটক করে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মামলার প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত মামুন পাটওয়ারী (৪৪) ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একাধিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও কচুয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মিরাজ পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, গণধর্ষণের অভিযোগের আলোকে মামলা দায়ের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং- ৯/১৮১)পূর্বক দুই অভিযুক্তকে আটক করে শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) চাঁদপুর আদালতে প্ররেণ করা হয়েছে। অন্যদিকে অপর অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।