শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫, ১৪:৪৮

লাকসামে শ্বশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
লাকসামে শ্বশুরকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তার।

কুমিল্লার লাকসামে পুত্রবধূকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত ও ব্লেড দ্বারা শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যার দায়ে পুত্রবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোছা. তাসলিমা আক্তার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকায় একটি কারখানায় চাকুরি করার সুবাদে সেখানে থাকতেন। সেই সুযোগে পুত্রবধূ বিভিন্ন লোকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পুত্রবধূকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন দিবাগত রাত সোয়া তিনটার মধ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে এবং ব্লেড দ্বারা শ্বশুর মো. চাঁন মিয়া (৭০)-এর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেন পুত্রবধূ মোছা. তাসলিমা আক্তার (৩০)।

এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১১ জুলাই কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে ভিকটিমের পুত্রবধূ অর্থাৎ মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মোসা. তাসলিমা আক্তার (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জনকে আসামি করে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. এনামুল হক ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যার অভিযোগপত্র নং-১৪৫)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসলে ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ডজনখানেক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দ. বি. আইনের ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

উল্লেখ্য যে, ভিকটিম চাঁন মিয়া স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ কৌঁসুলি অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়