বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর নিন্দা ও প্রতিবাদ

চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা অতীব দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবৎ একজন ফেরারি আসামি হয়েও হারুন আল রশীদ নামক এক ব্যক্তি তার এবং তার নিয়ন্ত্রিত আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম নাট্য সংগঠন বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শুকদেব রায় ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর নামে নানা মিথ্যা অপবাদ, নোংরা, কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এতে করে সংগঠনেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের বিভিন্ন শিল্পী সমাজের সকল শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকদের নিয়ে নানা অপবাদ, নোংরা, কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে খুবই খারাপ প্রভাব পড়ছে চাঁদপুরের শিল্প সংস্কৃতি অঙ্গনে।

এ অবস্থায় একজন ফেরারি আসামী হয়েও যখন কোনো ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে, তখন শিল্পীদের সামাজিক ইমেজ সংকট সৃষ্টি হয়। সকলের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, এই ব্যক্তি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পতিত হাসিনা সরকারের স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর মদদপুষ্ট হয়ে চাঁদপুরের শিল্প-সংস্কৃতির অঙ্গনে সরব পদচারণা করে চলে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং শিল্পীদের ভয়ভীতি ও সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা পাওয়া-না পাওয়ার প্রলোভন এবং হুমকি দিয়ে সুকৌশলে চাঁদপুরের সংস্কৃতির অঙ্গনের একজন মাফিয়া হয়ে উঠে। সাবেক এমপি দীপু মনির প্রভাব দিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিল্পীদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধ্য করে। আবার এখন সেসব অনুষ্ঠানের ছবি/ভিডিও তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ লাগিয়ে শিল্পীদের ব্ল্যাকমেইল করে চলেছে।

সুতরাং এ অবস্থার প্রেক্ষিতে এ ধরনের সন্ত্রাসীর হাত থেকে বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চাঁদপুরের শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হলে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ একান্ত জরুরি। তাই শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারকারী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ওয়ারেন্টভুক্ত ফেরারি আসামি হারুন আল রশীদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।