মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২১:৪১

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সনাক যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ----সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সনাক যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়  ----সহকারী জেলা প্রাথমিক  শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন

চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চাঁদপুরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে সনাক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘চাই শিক্ষাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক চাঁদপুরের সভাপতি মো. আলমগীর পাটওয়ারী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সনাক-টিআইবি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে। সনাক-টিআইবির যে কোনো কার্যক্রমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, গুয়াখোলা, আব্দুল আউয়াল গাজী ও নিজ গাছতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তথা প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সনাকের পর্যবেক্ষণগুলো সমাধানে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো। চাঁদপুর জেলায় ১১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আমি মনে করি, এই তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি সকল বিদ্যালয়েই কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। সনাক-টিআইবির উদ্যোগে ১১৫৬টি স্কুলে যে একটিভ মাদার্স ফোরাম গঠন হয়েছে সেগুলো সক্রিয় করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনটি একটিভ সিটিজেন গ্রুপ নয়, প্রত্যেকটি স্কুলেই যদি একটিভ সিটিজেন গ্রুপ থাকতো তাহলে স্কুলের কার্যক্রমে আরও বেশি গতিশীলতা আসতো বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সনাক যেভাবে কাজ করছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ সনাকের কার্যক্রমগুলো এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সবসময় সহযোগিতা করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবক উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনিয়মিত যে সকল শিক্ষার্থী, লেখাপড়ায় অমনোযোগী ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে হবে। প্রয়োজনে শ্রেণিভিত্তিক অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করতে হবে, যেখানে এমন অভিভাবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, শিখন ঘাটতি চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর ফলাফল খারাপ হলে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করা এবং ঐ শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে না উঠানোর আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সনাক সভাপতি মো. আলমগীর পাটওয়ারী বলেন, আমরা আশা করছি শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে পারবো। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে তিনটি স্কুলের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি একটিভ মাদার্স ফোরামকে সক্রিয় করার জন্যে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতো ব্যস্ততার মাঝেও অ্যাডভোকেসি সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্যে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদ রানার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের সাবেক সভাপতি ও সদস্য কাজী শাহাদাত। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম, সনাকের সাবেক সভাপতি ও শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. মোশারেফ হোসেন, সনাকের সহ-সভাপতি অ্যাড. পলাশ মজুমদার, সনাক সদস্য আব্দুল মালেক, গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাছিনা আক্তার, আব্দুল আউয়াল গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা, নিজ গাছতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. হাফছা বেগম ও গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রিক এসিজি গ্রুপের সহ-সমন্বয়কারী নাসরিন আক্তার।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সনাক-চাঁদপুরের সহ-সভাপতি জেসমিন আক্তার, সনাক সদস্য অধ্যাপক সবিতা বিশ্বাস, লীলা মজুমদার, মো. হাবীবুর রহমান পাটওয়ারী এবং সনাক-চাঁদপুরের ইয়েস গ্রুপের সদস্য ও টিআইবির কর্মীবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়