প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩১
চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ড. নাঈম হোসেন: মালয়েশিয়ার পুত্রা বিজনেস স্কুল থেকে মার্কেটিংয়ে পিএইচডি অর্জনের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়
চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ড. নাঈম হোসেন : মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি অর্জন

চাঁদপুরের নাজিরপাড়ার গর্বিত সন্তান মো. নাঈম হোসেন (বাবু) ২০২৫ সালের ৬ আগস্ট মালয়েশিয়ার সেরদাং-এ অবস্থিত ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া (UPM)-এর অধিভুক্ত পুত্রা বিজনেস স্কুল (PBS) থেকে মার্কেটিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
|আরো খবর
তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল— "বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ও ভবন ক্রয় আচরণ", যা দেশের টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব নীতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড. নাঈম ১৯৬৫ সালে চাঁদপুরের নাজিরপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা, প্রয়াত মো. ইদ্রিস মিয়া, ছিলেন চাঁদপুর কোর্টের কর্মকর্তা এবং স্থায়ী বাসস্থানও ছিল নাজিরপাড়ায়। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বড়ো ভাইদের মধ্যে আছেন এ কে এম খোরশেদ আলম, আবুল কালাম আজাদ এবং মো. আখতার হোসেন সরকার, যারা প্রত্যেকেই চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। শৈশব থেকেই পরিবার ও শিক্ষার সুশৃঙ্খল পরিবেশে বেড়ে ওঠা ড. নাঈম ছিলেন মেধাবী ও পরিশ্রমী।
১৯৮০ সালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাসের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৯ সালে জগন্নাথ কলেজ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) থেকে ভূগোল বিভাগে বি.এসসি (অনার্স) এবং ১৯৯১ সালে এম.এসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৯ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (NSU) থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ একাডেমিক যাত্রা তাঁর অধ্যবসায় ও জ্ঞানের প্রতি নিষ্ঠার প্রমাণ।
তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহিলা কলেজ, উত্তরা ক্যাম্পাসে ভূগোলের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর করপোরেট জগতে প্রবেশ করে ঢাকা এবং মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একটি বহুজাতিক কোম্পানি 'ডিএইচএল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এক্সপ্রেস' ও 'ডিএইচএল এপিএসসি'-তে দুই দশকেরও বেশি সময় উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে করপোরেট ক্যারিয়ার থেকে অবসর নিয়ে আবার একাডেমিক গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা একাডেমিক ও বাস্তব জীবনের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে।
ড. নাঈম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন— "জ্ঞান অর্জনের কোনো বয়সসীমা নেই"। তিনি তাঁর একাডেমিক ও করপোরেট অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা, শিল্প ও গবেষণার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে চান। বিশেষত নীতি নির্ধারণ, টেকসই উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
ড. নাঈম হোসেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এবং চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক (চাঁদপুর জেলা বিএনপি) ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন-এর স্কুল ও কলেজ জীবনের সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
ডিসিকে/এমজেডএইচ