প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২২:২৯
তড়িঘড়ি লাশ দাহের চেষ্টা : রামগঞ্জে শ্মশান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহপুর রমেশ কবিরাজ বাড়ির একটি শ্মশান থেকে সঞ্জয় দে (৪৫) নামের এক সনাতনী ধর্মের যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয় দে’র উপর হামলা পরবর্তী বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার পর রোববার রাতে মৃতের স্বজনরা তড়িঘড়ি লাশ দাহের চেষ্টা করলে পুলিশ শ্মশান থেকে সঞ্জয় দে’র লাশ উদ্ধার করে।
সঞ্জয়ের স্ত্রী সান্তনা রাণী দে জানান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে গত ২৮ জুলাই তার স্বামী সঞ্জয়কে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। ২/৩দিন আগে ঢাকার পঙ্গু হসপিটাল থেকে সঞ্জয় দে বাড়ি ফিরে আসলেও রোববার রাতে তার স্বামী সঞ্জয় মারা যান। এ সময় সঞ্জয় দে’র লাশ দ্রুত দাহ করার চেষ্টা করে সঞ্জয় দের স্বজনরা।
স্থানীয় আবদুস সালাম, গফুর মিয়াসহ এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারণে গত এক যুগ সঞ্জয়ের অত্যাচারে কেউ বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। জমি দখল, ভূমি দস্যুতাসহ চাঁদাবাজির বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। গত ২৮ জুলাই এলাকাবাসী সঞ্জয়ের অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পেতে গণপিটুনি দিলে সঞ্জয় মারাত্মক আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে ভর্তি করায়। সেখান থেকে গত ২/৩দিন আগে সঞ্জয়কে ফের বাড়িতে আনার পর রোববার রাতে সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল বারী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রিপন দে, রাজন দে, স্বপন কুমার দে, শকংর দে, সুজন দে ও স্থানীয় চৌকিদার মো. রাসেল নামের ৬জনকে আটক করা হয়েছে।