ছুটির দিনে গৃদকালিন্দিয়া কলেজের অধ্যক্ষের রুমের তালা ভাঙ্গার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট রক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন। রোববার (১ জুন ২০২৫) তিনি জেলা প্রশাসক এবং ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অনুরূপ আবেদন করেন।

লিখিত আবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ৩১ মে ২০২৫ (শনিবার) কলেজ ছুটির দিনে দুুপুরে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরি রাণী সাহা কিছু সংখ্যক অজ্ঞাত লোকদের সাথে নিয়ে কলেজে এসে অধ্যক্ষের রুম ও অফিস রুমের তালা ভেঙ্গে ফেলেন।

দেলোয়ার হোসেন জানান, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অবৈধভাবে থাকা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত এডহক কমিটির সভাপতি কর্তৃক অব্যাহতি পাওয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রাণী সাহা কীভাবে কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি ধারণা করছি, তিনি আমাকে ফাঁসাতে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই হীন কাজ করেছেন। তাই আমি বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক ও ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরো জানান, কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ফরিদগঞ্জের সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ কলেজের নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে জ্যেষ্ঠতম হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দান করেন। সেই থেকে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দপ্তরবিহীনভাবেই শিক্ষকদের সহায়তায় গতিশীল রেখে আসছি। কিন্তু সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজেই দীর্ঘদিন ধরে কলেজে অনুপস্থিত থেকে নানাভাবে কলেজের ক্ষতিসাধন করে চলছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

তারপরও কলেজের বৃহত্তর স্বার্থে এবং গভর্নিং বডির সভাপতির নিদের্শনা মোতাবেক নিয়মিত কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিন্তু কলেজের তালা ভেঙ্গে নথি সরিয়ে ফেললে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়ে জানতে গৌরি রাণী সাহার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।