প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০০:৩৭
বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ
মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর হবে দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু

মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা অনুসরণ করে এ সেতুটি নির্মাণ করা হবে। আগামী বছর (২০২৬ সালে) সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব ভিখারুদৌল্লা।
|আরো খবর
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর একনেক সভায় সেতুটির অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ১.৮৫ কিলোমিটার এবং সংযোগ সড়ক ৭.৫১ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে ইন্টারচেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট হবে ২.১ কিলোমিটার। টোল প্লাজা ১টি ও ওজন স্টেশন ২টি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ০.২৩%।
নদীর মূল প্রবাহে কোনো পিলার থাকবে না—এটাই এই সেতুর বিশেষত্ব। দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ ও এক্সিম ব্যাংক ০.০১% সুদে ঋণ দিয়েছে। ঋণ পরিশোধের ম্যাচিউরিটি পিরিয়ড ৪০ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড ১৫ বছর। ডিটেইল্ড ডিজাইন চূড়ান্ত, ভূমি অধিগ্রহণ চলমান।
সেতু নির্মাণ হলে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার সাথে ঢাকার দূরত্ব, সময় ও ব্যয় কমে আসবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর যানবাহনের চাপ কমবে ও বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। চাঁদপুরের অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, পর্যটন শিল্পও বিকশিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, এটি তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু। সেতুর খবরে এলাকার জমির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের জীবনমান পাল্টে যাবে বলে আশা করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক বলেন, সহজে ঢাকা আসা-যাওয়া করলে ঢাকায় বসবাসের চাপ কমবে। চাঁদপুরের মানুষ প্রতিদিন চাকরি ও ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, এ সেতু এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
যুগ্ম সচিব ভিখারুদৌল্লা জানান, ২০২৬ সালে সেতুর কাজ শুরু করার আশা করছেন। এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প রাস্তা হবে।
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এটি বর্তমান সরকারের বৈষম্যহীন ও ব্যয় সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি গড়ার অন্যতম উদ্যোগ। সেতুটিতে থাকবে বিশ্বমানের প্রকৌশল ও পরিবেশবান্ধব নকশা।
ডিসিকে /এমজেডএইচ








