বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৫

হাজীগঞ্জ বাজারে হকার বসলেই চলছে অভিযান

কামরুজ্জামান টুটুল।।
হাজীগঞ্জ বাজারে হকার বসলেই চলছে অভিযান
হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজট আর হকারমুক্ত রাখতে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এক ভ্যান চালককে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন। ছবিটি বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে তোলা। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

জেলা প্রশাসকের কঠোর নজরদারির কারণে এক মাসের অধিক সময় ধরে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকাতে যানজট নেই বললেই চলে। শুরু থেকে প্রতিদিন বাজারে প্রশাসনের অভিযানে মালামাল জব্দ, হকার আটকসহ নজরদারির কারণে হকার বসতে পারেনি আর যানজট সৃষ্টি হয়নি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১ আগস্ট থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে সড়কের পাশে হকার বসা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই প্রক্রিয়াকে ধরে রাখতে প্রতিদিন বাজার এলাকাতে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মনিটরিং করা হচ্ছে। হকাররা বসা মাত্র মালামাল জব্দ করা হয় ও বিশেষ ক্ষেত্রে হকারকে আটক করা হয়ে থাকে। এই ধারাবাহিকতা চলছে শুরু থেকে, যা চলমান থাকবে বলে জানা যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হাজীগঞ্জ বাজার থেকে মালামালসহ ১৫ টি ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়। পরে এই ভ্যান চালকেরা হাজীগঞ্জ বাজারে বসবে না আর মালামাল নিয়ে গ্রাম চলে যাবে এমন মুচলেকার বিনিময়ে ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরজমিনে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বাজার পরিদর্শনে আসলে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের সামনের ফুটপাথে অমলকি আর শালুক নিয়ে বসেছে এক হকার। ম্যাজিস্ট্রেট দেখে মালামাল রেখে সটকে পরে সে। মালিক না পাওয়াতে শালুক আর অমলকির ডালা জব্দ করা হয়। আরেক হকার ভ্যানে পেয়ারা সাজিয়ে সড়কের পাশেই দাঁড়িযে পড়েন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় পেয়ারা বিক্রেতাকে তাৎক্ষণিক আটক করে গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। অবশ্য বেলা ৪ টার দিকে পৌর মার্কেটের সামনে একাধিক হকারকে ভ্যানে করে পেয়ারা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হকার উচ্ছেদের পর থেকে শত শত হকার বেকার হয়ে পড়ে। অনেকে পেশা পরিবর্তনের চিন্তা করছেন। তবে যারা পেশাকে ধরে রাখছেন তারা অভাব অনটনে চলছেন। এই হকাররা বাজারের বকুলতলা সড়ক, হোটেল পট্টি, ডিগ্রি কলেজ সড়ক, শহীদ আলী আজ্জম সড়ক, জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনের পার্কিং এরিয়াসহ বিভিন্ন মার্কেটের ফাঁকে ফাঁকে স্যাম্পল মালের মতো করে যৎসামান্য মালামাল নিয়ে বসে। তবে এতে করে বেচাকেনা একেবারে নগণ্য।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, আমাদের মনিটরিং নিয়মিত চলমান রয়েছে। ফুটপাথ দখল আর বাজারে যানজট সৃষ্টিকারীকে কোনো ছাড় নয়, এটা ডিসি স্যারের স্পষ্ট নির্দেশনা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়