প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৫
মুদাফ্ফরগঞ্জ-চিতোষী সড়ক
দু কিলোমিটার সড়কের দুরবস্থায় চার জেলার পাঁচ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

মাত্র দু কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চার জেলার পাঁচ উপজেলার লক্ষাধিক জনগণের। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় এলাকাবাসী গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সেতুবন্ধন মুদাফ্ফরগঞ্জ -চিতোষী-হাসনাবাদ সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণ ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এ সড়কটি শাহরাস্তি, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চাটখিল ও রামগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী জনগণের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। এই সড়কটি শুধু চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাই নয়, এটি কয়েকটি জেলা ও উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। এই সড়কটি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একাংশ ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। শুধু তাই নয়, এটি নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী জনগণের যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই সড়কটি দিয়েই অল্প সময়ে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে যাতায়াত করা যায়। অবহেলিত সীমান্তবর্তী জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা রাখছে এই সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর কুমিল্লা সড়ক বিভাগ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিগত এক বছর ধরে সংস্কার কাজ চলমান থাকার পর বর্তমানে হঠাৎ করেই মনোহরগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর ব্রিজ থেকে শাহরাস্তির চিতোষী বাজার ব্রিজ পর্যন্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সড়কটির ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থানীয় জনগণ গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
গোবিন্দপুর গ্রামের হাজী সিদ্দিকুর রহমান জানান, বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ বন্ধ করে রাখায় আমাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। বেরনাইয়া এলাকার আব্দুল কাদের বলেন, শুনেছি ঠিকাদারের নিকট চাঁদা দাবি করায় তিনি কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। চিতোষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আলী হোসেন বলেন, আমরা সড়কটি নিয়ে বিশাল সমস্যায় আছি। চিতোষী বাজারে অবস্থিত শাহরাস্তির সাব- রেজিস্ট্রার ফরিদা আক্তার বলেন, আমি প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকি। সড়কটির কারণে আমাকে নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।