প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬
মেঘন-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা!
পানি নিষ্কাশন খাল সংস্কার শুরু

অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে ছেংগারচর বাজার থেকে হানিরপাড় পর্যন্ত (ডি-৩ খাল) মাঝে বয়ে চলা খাল। খালটি খননের উদ্যোগ না নেয়ায় এবং স্থায়ী সমাধান না মেলায় সামান্য বৃষ্টিতেই কৃষকের মাঠে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। সম্প্রতি ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে পানি নিষ্কাশন খাল যেনো ময়লার ভাগাড়’ শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে এ খালটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
|আরো খবর
পাউবো কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন পরে খালটির প্রাণ ফেরাতে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ শুরু করে। যার অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
শনিবার (১৬আগস্ট-২০২৫) মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ডি-৩ (ছেংগারচর বাজার থেকে হানিরপাড় অংশ) সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়। সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি।
উদ্বোধনী আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সেলিম শাহেদ, সহকারী কমিশনার হিল্লোল চাকমা, মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ রবিউল হক, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আলম লাভলু, ছেংগারচর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক উজ্জ্বল ফরাজী ও আউয়াল সরকার।
এ সময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালাহ উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টির পানি জমে তলিয়ে যায় কৃষি জমি ও মাছের খামার। তবে বর্তমান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খাল সংস্কারের উদ্যোগে খুশি এলাকার সবাই।
সচেতন মহল বলেছেন, খালটি সংস্কার করলেই হবে না। এটি দখলমুক্ত করে খনন করতে হবে। পুনরায় যাতে কেউ স্বেচ্ছাচারিতার মতো দখল ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করতে না পারে সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম শাহেদ বলেছেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে খালটিতে। দীর্ঘদিন ধরে খননের অভাব আর নাব্য সংকটের পাশাপাশি প্রশস্ততা কমে প্রবাহিত হতে পারছে না। বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা করেছি। খালটি খননের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদান করার পর কৃষকের একটি অভিযোগ ছিল খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে না পারায় বৃষ্টির পানিতে জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমি সরজমিনে পরিশর্দন করে জলাবদ্ধতা দেখতে পাই। এ বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি। খাল সংস্কার কাজের উদ্বোধন হলো। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং আমরা মনে করি এ খালগুলোকে যদি আগের মতো প্রবহমান করা যায় তাহলে সেচ প্রকল্পের পরিবেশ একটি ইতিবাচক দিক আমাদের জন্য বয়ে নিয়ে আসবে। কৃষকরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।