রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ২১:০০

সৌন্দর্য বেড়েছে হাজীগঞ্জ বাজারের

ফুটপাত দখলকারীর মালামাল জব্দ হয়ে চলে যাবে এতিমখানায় ..........জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

কামরুজ্জামান টুটুল।।
ফুটপাত দখলকারীর মালামাল জব্দ হয়ে চলে যাবে এতিমখানায়  ..........জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন  উদ্দিন
হাজীগঞ্জ বাজারে যানজটমুক্ত ও হকারমুক্ত অবস্থা সরজমিনে দেখতে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

আমরা পর্যাপ্ত সময় দিয়ে সড়কের পাশ থেকে দখলদারদের সরিয়ে দিয়েছি। আশা করবো আর কেউ ফুটপাত দখল করে বসবেন না। এরপরে কোনো হকার ফুটপাত দখল করে সড়কের পাশে বসলে আমরা তার ভ্যানগাড়ি নষ্ট করে ফেলবো। আর ভ্যানগাড়িতে থাকা মালামাল জব্দ করে এতিমখানায় দিয়ে দেবো। । কোনো দোকানি ফুটপাত দখল করে তার মালামাল রাখলে ঐ সকল ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে 'লঘু অপরাধে গুরু দণ্ড' দেয়া হবে। মোটকথা সড়কের পাশে আর কোনো হকার বসতে পারবে না। হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজটমুক্ত, হকারমুক্ত আর আবর্জনামুক্ত করা শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে বেশ দৃঢ়তার সাথে এসব কথা বললেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজার পরিদর্শন শেষে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ মাঠে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন আরো বলেন, আমরা যতদিন আছি ততদিন হাজীগঞ্জ বাজারে সড়কের দু পাশে কোনো হকার বসতে পারবে না। এরপরে একটা শৃঙ্খলা ফিরে আসলে ট্রাফিক পুলিশ এর দেখভাল করবে। বাজারে যেনো হকার বসতে না পারে সেজন্যে ইউএনও একটি নাগরিক কমিটি গঠন করবে।  পাশাপাশি আমাদের সেনাবাহিনীসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। 

হকারদের পুনর্বাসন করা হবে কিনা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, অতীতে যাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছে তারা পুনরায় রাস্তার ওপর চলে এসেছে। তাদেরকে পুনর্বাসনের  দায়িত্ব আমাদের নয়। দেড় মাস তাদেরকে সময় দেয়া হয়েছে।

সরকারি জায়গাতে বসাই অন্যায়। তারা সামর্থ্য অনুযায়ী ভিন্ন পেশা বেছে নেবে। নাগরিক চলাচলের স্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর জেলার কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম,  হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সেনাবাহিনীর  হাজীগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন রিফাত আল আসমাউল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাবেদ হোসেন চৌধুরী, থানার  অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন ফারুক প্রমুখ। 

এদিকে হকার উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২ আগস্ট ২০২৫) দিনভর হাজীগঞ্জ সেনা ক্যাম্প, হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাজার এলাকাতে কাজ করতে দেখা গেছে। কোনো হকার বসেনি বা বসার চেষ্টা করেনি। গণপরিবহন বিশেষ করে বাসগুলো নির্দিষ্ট স্টপেজে যাত্রী ওঠানামা করেছে। সরিয়ে দেয়া হয়েছে বাজারের ভেতরে থাকা একাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও অটোবাইক স্ট্যান্ড।

পৌরসভার উদ্যোগে পুরো বাজারের সড়কের দু পাশের আবর্জনা সরিয়ে সংস্কার করার কাজ চলছে।  শনিবার ছিলো হাজীগঞ্জ বাজারের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়