প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ২১:৪৬
শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ছেদ ঘটিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অপদস্থ এবং কমিটির কতিপয় সদস্যের হাতে বিদ্যালয়ের রেজুলেশন ও নোটিস বই দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন।
|আরো খবর
তদন্ত প্রতিবেদনের সারাংশে তদন্ত কর্মকর্তা লিখেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরীফ হোসেন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন নিয়োগ অন্যায় ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় বন্ধ করার দায়ে এবং মো. ইসমাইল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার নিমিত্তে উল্লেখিত দুজন অপরাধীর যোগসাজশে তার কাছে রক্ষিত নিয়োগ সংক্রান্ত নম্বর ফর্দ, রেজুলেশন ও অন্যান্য কাগজপত্র বিনা বাধায় মো. মিজানুর রহমানকে প্রদান করে দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। বিদ্যালয়টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ চন্দ্র কুরী বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে গত রোববার (২২ মে ২০২৫) স্কুলে একটি সভা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়ায় রেজুলেশনের মাধ্যমে গত ৩ জুন ২০২৫ তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেনের বক্তব্যের জন্যে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, তদন্ত প্রতিবেদন মোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।