চাঁদপুর লঞ্চঘাটে প্রশংসিত রোভারদের যাত্রীসেবা

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষের নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খল যাতায়াত নিশ্চিত করতে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ স্কাউটস্-এর চাঁদপুর জেলা রোভার স্কাউটের ১০ দিনব্যাপী স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চলমান ছিলো।

ঈদের আগে ৪ দিন ও পরে ৬ দিন, মোট ১০ দিন প্রতিদিন ৩০ জন করে রোভার স্কাউট সদস্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে লঞ্চে ওঠানামা, পথনির্দেশনা, যাত্রীদের তথ্য সহায়তা, প্রবীণ ও শিশুদের সহায়তা, রাস্তায় শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসনসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত থাকেন।

শনিবার (১৪ জুন ২০২৫) রাত পর্যন্ত এ সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো।

এই সেবামূলক কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চাঁদপুর জেলা রোভার স্কাউটের সম্পাদক মো. ফয়সাল আহম্মেদ ফরাজী।

তিনি বলেন, “ঈদ-যাতায়াতে এই লঞ্চঘাটে যাত্রীসেবা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। এখানে ওঠানামার রাস্তাটি খুবই সরু। বেশিরভাগ সময় সিএনজি অটোরিক্সা, অটোবাইক এবং রিক্সা চালকদের চাপে যাত্রীরা অস্বস্তিবোধ করে। জেলা রোভাররা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে।”

“যাত্রীরা যাতে কোনো দুর্ভোগে না পড়েন সেজন্যে তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন।”

রোভার স্কাউটদের এই কার্যক্রমে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।

চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও রায়পুরের যাত্রীরা রোভারদের সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

রায়পুরের যাত্রী আব্দুল হালিম বলেন, “পরিবার নিয়ে লঞ্চে উঠতে গিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম, রোভার স্কাউট সদস্যদের সহায়তায় নিরাপদে উঠতে পেরেছি।”

ফরিদগঞ্জের মাহমুদা বেগম জানান, “দু সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে এসেছি। ঘাটে নামতেই একজন রোভার স্কাউট ব্যাগ নিয়ে সাহায্য করেছেন এবং অটো পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন।”

চাঁদপুর সদর উপজেলার সোহেল রানা জানান, “আগে ঘাটেই সিএনজি অটোরিক্সা ও অটোবাইক চালকদের বিশৃঙ্খলা দেখা যেতো। এবার স্কাউটদের কারণে ঘাটের বাইরে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলো, আর শৃঙ্খলাও অনেক ছিলো।”

চাঁদপুর নদী বন্দরে রোভার স্কাউটদের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি দেখা গেছে।

শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে রোভার সদস্য ছাড়াও পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা ছিলেন।

সুধীজন মনে করছেন, এই কার্যক্রম জাতীয় পর্যায়ে রোভার স্কাউটদের একটি অনুকরণীয় মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ