প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ২১:১৩
ফরিদগঞ্জে শিক্ষকের সৃজনকৃত বাগানের গাছ কর্তন

গাছ লাগানোর শখ ফরিদগঞ্জের সন্তোষপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমরান হোসেনের। সেই শখ থেকে তিনি তাদের ক্রয়কৃত জমিতে বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের বাগান সৃজন করেন। কিন্তু এতেই বিপত্তি বাধে। ঈদের ছুটির ফাঁকে তাদের অগোচরে সৃজনকৃত বাগান থেকে ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয়। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২নং চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের চরচন্না গ্রামের।
|আরো খবর
শিক্ষক এমরান হোসেন জানান, চরচন্না গ্রামের তাদের পৈত্রিক বাড়ির বিভিন্ন অংশে তারা শখের বশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করেন। সেই আলোকে তাদের খরিদকৃত সম্পত্তিতেও তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার জেঠা সৈয়দ আহম্মদ গং বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের চারা কেটে ফেলেন। তারা ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে এই ঘৃণ্য কাজ করলেও বস্তুত তারা ওই জমির মালিক নন। তারা খরিদ সূত্রে জমিটির মালিক। এমরান হোসেনের মা ও মৃত নজির আহম্মেদের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, আমার স্বামীর ক্রয়কৃত ও আমার দখলীয় জমিতে সৃজনকৃত বাগানের ফলদ ও বনজ গাছগুলো আমার ছেলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে জোরপূর্বক সৈয়দ আহম্মদ ও তার ছেলে আবু তাহেরসহ লোকজন রাতের আঁধারে কেটে ফেলে।
তিনি আরো জানান, গাছ কাটার বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আরো গাছ কাটবে জানিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয় ও হামলার চেষ্টা করে। যদিও প্রতিবেশীদের কারণে তারা হামলা করতে পারেনি। এ ব্যাপারে সৈয়দ আহাম্মদ জানান, তিনি এই জমির মালিক। তবে তার কাছে কাগজপত্র নেই।