আরএমও ডা. আসিবুল আহসানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালে দায়েরকৃত এক মামলায় সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরীকে শোকজ করেছে চাঁদপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ডা. আসিব মামলায় ভিকটিমের মেডিকেল সনদ প্রদান করেন। তিনি মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য না দেয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে সাক্ষ্য প্রদান না করায় ৭ বছর মামলাটি চলমান। এ মামলার ১৫ নম্বর সাক্ষী হচ্ছেন আরএমও ডা. আসিবুল হাসান চৌধুরী। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্যে আরএমওকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

রোববার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুর রহমান এই নির্দেশ দেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাড. ওমর ফারুক টিটু।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর এলাকার মো. কামাল হোসেন দুলাল তার প্রতিবন্ধী মেয়ে হেলেনা আক্তার (৩০)কে হত্যার ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ৫জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরীকে সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে নোটিস করে আদালত। তবে তিনি সাক্ষ্য দেননি। যার ফলে আদালত তাকে মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।

বিচারকের আদেশে উল্লেখ করা হয়, তার (চিকিৎসক) বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ (এ) ধারা মোতাবেক কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব দিতে হবে এবং সাক্ষ্য না দেয়া পর্যন্ত তার বেতন বন্ধের জন্যে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হবে।

এমতাবস্থায় আদালত তাকে মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।