প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০:০২
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিদায় সংবর্ধনায় জেলা প্রশাসক
বিদায় বেলায় আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন (যুগ্ম সচিব)-এর পদোন্নতিজনিত বদলিতে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে চাঁদপুর পূজা উদযাপন পরিষদ। এ উপলক্ষে শনিবার (১৫ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে পুরাণবাজার পশ্চিম বাজার দোল মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি পণ্ডিত নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, এনডিসি মো. আনিসুর রহমান, দোলমন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ক্লিন চাঁদপুর-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, চাঁদপুর চেম্বার অব কামার্সের সদস্য ফারুক মৃধা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সাহা, চাঁদপুর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকার প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিখিল মজুমদার ও কচুয়া পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক ভৌমিক। অনুষ্ঠানে পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ হতে বিদায়ী অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বিদায়ী অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা জন্মাষ্টমী পরিষদ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ, দাসপাড়া শিব মন্দির কমিটি, দোল মন্দির মন্দির কমিটি, বারোয়ারী মন্দির কমিটি, রাম ঠাকুর মন্দির কমিটিসহ অনেকে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিদায় বেলায় আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ। আমি আমার দায়িত্বের মধ্যে যতোটুকু ছিলো ততোটুকুই করেছি, বিশেষ কিছু করিনি। দায়িত্ব পালনে আপনাদেরও অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে আপনারা অনেক সংশয়ে ছিলেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিলো আপনাদের সেই সংশয় ও আতঙ্ক দূর করা। এটা একটা অজানা আতঙ্ক ছিলো। কিছু দুষ্কৃতকারী ছাড়া আমাদের সকল ধর্মের মানুষই শান্তিপ্রিয়। ওই সময় আপনারাও ধৈর্য ধরেছেন, সাহস হারাননি। তিনি আরো বলেন, আপনাদের প্রতি রিকোয়েস্ট থাকবে, সকলের সাথে সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করুন। বিশেষ করে অন্যান্য ধর্মের যারা রয়েছে তাদের সাথে আপনারা সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। মনে রাখবেন, সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করলে কোনো সমস্যা নেই, রাজনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করলে হয়তো কিছু সমস্যা হতে পারে। এই সম্পর্ক, এই ভালোবাসা আপনাকে নিরাপত্তা দেবে। তাহলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়বে। প্রত্যেক ধর্মের কাছে মানুষই সেরা।








