প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ২১:২৯
চাঁদপুর পৌরসভার পনর ওয়ার্ডে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
এদেশে জাতীয়তাবাদী দল সাধারণ জনগণের দল
----শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক×

চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন ২০২৫) সকাল ১০টায় ১৪নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ৫নং ওয়ার্ডে শেষ হয় ১৫টি ওয়ার্ডের কার্যক্রম। এর মধ্যেই চলে সকল ওয়ার্ডের কার্যক্রম। প্রধান অতিথি হিসেবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
|আরো খবর
তিনি বলেন, এদেশে জাতীয়তাবাদী দল সাধারণ জনগণের দল। এই দলে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই। আমরা আছি, থাকবো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দলের পতাকাতলে থাকবো। আমরা শুধু আন্দোলন করেছি, আর জেল খেটেছি। সময় এসেছে জনগণের সেবা করার।
তিনি বলেন, যারা নতুন সদস্য হবেন, আপনারা সকলে জাতীয়তাবাদী দল ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের সালাম ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন। আর বলবেন, এই দেশের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান হলেই দেশের ও সকলের উন্নয়ন হবে। তারেক রহমানের আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেউ চায় না ভোটবিহীন, নির্বাচন ছাড়া এমপি হতে। জনগণের ভোটে জয়যুক্ত হয়ে এমপি হবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা। বাংলাদেশে বর্তমানে দুটি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে বিএনপির নামে অপপ্রচার করছে। তারা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই অপপ্রচারগুলো করছে। আপনারা সকলে সজাগ থাকবেন। দেশের চিন্তা করে তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন, আম্মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, খালেদা জিয়া অসাধারণ মানুষ। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারো সাথে কখনো আপস করেননি।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার এই ১৫নং ওয়ার্ড ছিলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। ফ্যাসিস্ট বিদায়ের আগের দিনও এই এলাকার দুই সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের মা-বোন ও ভাইদের উপর হামলা করা হয়েছে। যদি এদেশে শেখ হাসিনার বিচার হয় ঐ সন্ত্রাসীদেরও বিচার হবে, ইনশাআল্লাহ। ১২নং ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ভোটার। প্রায় ৩৯ হাজার লোক এই ওয়ার্ডে বসবাস করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে আমাদের অনেক ভোটার রয়েছে।
তিনি বলেন, তরুণ সমাজ আমাদের সন্তানতুল্য। তোমরা নতুন সদস্য তৈরি করবে। তোমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। ১০নং ওয়ার্ডে ১২ হাজার ভোটার। প্রায় ৩৬ হাজার জনগণের বসবাস। আর আমার একটি বাড়ি রয়েছে ১০নং ওয়ার্ডে। আমি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে বাড়িটির ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছে, যা সকলে অবগত আছেন। সেদিন আমি কাউকে বলিনি, আপনারাই সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে ছুটে গিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সবসময় দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের পাশে থাকতে পারি। পৌর ৯নং ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ দলের ক্রান্তিলগ্নে অনেক পরিশ্রম করেছেন। এখানে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি রয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি ভালো ভূমিকা রেখেছে। যেখানে নেতৃবৃন্দ ভালো হবে সেখানে দলের সুনাম থাকবে। ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি একটি সুসংগঠিত দল। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
পুরাণবাজারের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডগুলোতে যারা আমাদের বিভিন্ন সময় কার্যক্রম করতে দেয় নি, তারা কিন্তু এখনও কেউ এখানে নেই । তারা পালিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি। বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. হারুনুর রশিদ।
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মাস্টার, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, খলিলুর রহমান গাজী, ডিএম শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুনীর চৌধুরী, হাজী মোশাররফ হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য মাহবুবুর রহমান শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, অ্যাড. মনিরা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, প্রচার সম্পাদক শরীফ উদ্দিন পলাশ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পিপি অ্যাড. কোহিনুর রশিদ, শিশু বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শিরিন সুলতানা মুক্তা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আলী আহমদ সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, ফয়সাল আহমেদ বাহার, সহ-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাঝি, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা লাকী, সহ-যুব বিষয়ক দীন মো. জিল্লু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ জালাল শেখ, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইমাম আলী মিয়াজী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শাহাজাহান কবির খোকা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রধান অতিথির হাত থেকে সদস্যপদ নবায়ন করেন নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আছলাম তালুকদার, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তাছির বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল খান, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নূরুল ইসলাম নুরু গাজী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিয়াজী, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আলমগীর খান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ কালু, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম সেকুল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বেপারী, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাল, সাধারণ সম্পাদক কবির সরকার, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোকন মিজি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মাঝি, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাবিব পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক শহিদ ঢালী, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাছির আহমেদ ভূঁইয়া, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিন্টু দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ পাটওয়ারী, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল মাল, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন।
সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক।