শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ২০:২৬

চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত ড্রেন নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা

মো. আবদুর রহমান গাজী।।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত ড্রেন নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের জিটি রোড উত্তর বিষ্ণুদীতে ১২ শ' ফুট রাস্তা খননের দৃশ্য।

চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের জিটি রোড এলাকায় প্রায় ১২০০ ফুট রাস্তা খনন করে একটি ব্যক্তিগত আউট লাইন পাইপ স্থাপন কাজে এলাকাবাসী বাধা প্রদান করেছে। তারা এ কাজে পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এবং দাবি জানিয়েছে, এখানে এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রয়োজনে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করাই বাস্তব ও টেকসই সমাধান।

এ ঘটনায় উত্তেজনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) জুমার নামাজের পর চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ দু দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তা এ সময় এলাকাবাসীর কথা শুনে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। এ বিষয়ে রোববার পৌর প্রশাসক এলাকাবাসীর সাথে বসবেন বলে পুলিশ আশ্বস্ত করে।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ’-এর সভাপতি জিএম জাহিদ হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি তুলে ধরে পৌর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “পৌরসভার অনুমোদনে এক ব্যক্তির স্বার্থে ১২০০ ফুট রাস্তা খনন করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ থাকার পর সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল। এ কাজের মাধ্যমে রাস্তার স্থায়িত্ব ফের হুমকির মুখে পড়েছে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরশাদ গাজী বলেন, আমাদের এলাকায় ২০ বছর ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা একটি চিরস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিগত মেয়র বরাবর আবেদন করেছিলাম। তিনি ৩৬ ফুট প্রশস্ত রাস্তায় আরসিসি ড্রেন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অথচ এখন এককভাবে একজন ব্যক্তি ড্রেনের নামে রাস্তা খুঁড়ে ফেলেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি বেলায়েত হোসেন দাবি করেন, তিনি চাঁদপুর পৌরসভায় আবেদন করে অনুমোদন নিয়েছেন এবং নিজ খরচে পানির আউট লাইন নির্মাণের কাজ করছেন। তিনি বলেন, এলাকাবাসী যখন চেম্বার স্থাপনের দাবি তোলে, তখন আমি বলি, যারা চান তারা নিজ খরচে করবেন। এরপরই কিছু লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারতে আসে এবং হুমকি দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে আমি থানায় অভিযোগ করি।

চাঁদপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দে জানান, বেলায়েত হোসেন তার হোল্ডিং নম্বর এবং পানির লাইনের কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করলে তাকে সাময়িকভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। পৌরসভার নিজস্ব তহবিলের ঘাটতির কারণে এখন আরসিসি ড্রেন নির্মাণ সম্ভব নয়।

এলাকাবাসীর দাবি, ব্যক্তিগত পাইপের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার সমাধান হবে না। বরং পুরো এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করলেই টেকসই সমাধান মিলবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয় সে বিষয়ে সজাগ রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়