শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫, ১৭:৫৯

এতিমদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলো 'বিজয়ী'

স্টাফ রিপোর্টার।।
এতিমদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলো 'বিজয়ী'

রাত পেরোলে ঈদুল আযহা। তবে এরই মধ্যে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ঈদ আনন্দকে নিজ নিজ আঙ্গিনায় আবদ্ধ করতে ব্যস্ত প্রত্যেকেই। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যাদের ঈদ আছে কিন্তু আনন্দ নেই। এদের মধ্যে রয়েছে এতিম শিশুরা। কেননা, ঈদের আনন্দ নতুন জামায় নয়, নয় হাজারো মজাদার খাবারের সমারোহে।

পরিবার ছাড়া ঈদ আনন্দের সার্থকতাই বা কোথায়? এই সমাজে এতিমদের ঈদ আনন্দ অনেকটা সাদামাটা। এতিমখানার শিশুরা তাকিয়ে থাকে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার দিকে। ঈদকে ঘিরে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম সহযোগিতা পায় তারা।

চাঁদপুর জেলার খলিশাঢুলি এলাকায় রয়েছে সরকারি শিশু পরিবার। সেখানে মোট ১০০ জনের অধিক মেয়ে শিশু থাকে। যাদের কারো বাবা নেই, কারো আবার মা নেই। আবার কারো বাবা-মা কেউই নেই। তাদের দেখার কেউ নেই। তাই ঈদও উদযাপন করে এতিমখানাতেই।

শুক্রবার (৬ জুন ২০২৫) বিজয়ী নারী উন্নয়ন সংস্থার ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান নিজ হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে হাজির হন সরকারি শিশু পরিবারে। বাদ জুমা তিনি শিশু পরিবারের মেয়েদেরকে খাবার বেড়ে দেন এবং তিনি নিজেও তাদের সাথে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। এসব খাবার পেয়ে শিশুদের চোখে-মুখে দেখা যায় উচ্ছ্বাসের ছাপ। তিনি শিশুদের সাথে গল্প করেন, তাদের সাথে গান করেন। এতে এতিমদের আপনজন না থাকার বেদনা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।

এতিমখানার পরিচালকের বরাত দিয়ে তানিয়া ইশতিয়াক খান জানান, এই শিশু পরিবারে ১০০ জনের অধিক শিশু থাকে। ঈদে যাদের যাওয়ার জায়গা নেই। তাদের জন্যে এতিমখানাটিতেই রান্না করা হয়। ওরা সেখানেই ঈদ উদযাপন করে।

তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, এতিম শিশুদের ঈদের আনন্দে আমরা শরিক হতে পেরেছি। তাদের হাসির কারণ হতে পেরেছি। এটা অনেক বড়ো পাওয়া। সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন, তবে ঈদটা সুন্দরভাবে তারা উদযাপন করতে পারবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজয়ীর স্বপ্নদ্রষ্টা আশিক খান, সরকারি শিশু পরিবার চাঁদপুর-এর তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক মো. আনিস ভূইয়া, টিম বিজয়ী-এর ভলান্টিয়ার কান্তা দে, সূচনা আক্তার, বিজয়া, রুবাইয়া আক্তার, মুন্নি, সৃষ্টিসহ অন্য সদস্যবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়