পশুর ঘাটতি নিয়েই ফরিদগঞ্জে শুরু হয়েছে কোরবানির হাট

ঘাটতি নিয়েই ফরিদগঞ্জ উপজেলায় শুরু হচ্ছে ৩৬টি পশুর হাট। যদিও এই উপজেলায় অন্তত ৮ শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। এদিকে কোরবানির পশুর হাটের ইতোমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা ও পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছরে কোরবানির পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ২১ হাজার ২৩৩টি। উৎপাদন হয়েছে ১৮ হাজার ৯৫০টি পশু। ফলে ২ হাজার ২৮৩ টি পশুর ঘাটতি রয়েছে। উপজেলায় তালিকাভুক্ত খামারির সংখ্যা ছোট-বড় মোট ৮২৫ টি।

মোস্তাকীম ডেইরি ফার্মের পরিচালক হাজী মোজাম্মেল, আল বারাকাহ এগ্রো ফার্মের পরিচালক শরীফ হোসেন মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন খামারি জানান, পশুর খাদ্য ও শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। তাই এবার ভালো দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং আমাদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পশ্চিম বালিথুবা গ্রামের নাহার এগ্রোর মালিক কামরুন্নাহার জানান, গত ৫/৬ বছর ধরে কোরবানির জন্যে পশু প্রস্তুত করছেন। পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। বিদ্যুতের অবস্থা তথৈবচ। তবে দাম ভালো পেলে লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবো।

সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের খামারি জসিম উদ্দিন মিন্টু বলেন, খাদ্যের দাম বেশি, খড়ের সংকট এবং শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। খামার সম্প্রসারণে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।

মুন্সিরহাট বাজারের একটি খামার থেকে কোরবানির জন্যে গরু কিনতে যাওয়া ক্রেতা শাহাদাত হোসেন হেলাল জানান, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। আরো কয়েকটি হাট ঘুরে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিবো।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমন ভৌমিক বলেন, পশু প্রস্তুতের জন্যে আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করেছি। খামারিদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় যে ঘাটতি আছে, তা তেমন কিছু না। আশপাশের এলাকা থেকে পশু এলে সংকট থাকবে না।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কোরবানির হাট ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যে পুলিশ কাজ করছে। পশুর হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি টহল টিমও কাজ শুরু করেছে।