শাহরাস্তির উৎসবমুখর ক্রীড়াঙ্গন ধরে রাখতে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে গতিশীল করা জরুরি

শাহরাস্তি উপজেলার উৎসবমুখর ক্রীড়াঙ্গনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ক্রীড়া সংস্থাকে গতিশীল করার বিকল্প নেই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর শাহরাস্তি উপজেলা জুড়ে ক্রীড়াঙ্গনে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। একে একে বেশ ক’টি টুর্নামেন্ট দর্শকদের নজর কাড়ে--বিশেষ করে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও মরহুম দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ সকল টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়াও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব সামিউল মাসুদের আগমন ঘটে। শুধু ফুটবল ও ক্রিকেট নয়, শাহরাস্তি উপজেলার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ভলিবল, হাডুডু-এর মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে এখানে। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে সামিল হতে দেখা যায় শাহরাস্তি উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনে। শাহরাস্তি উপজেলা ক্রীড়াঙ্গনের উর্বর ভূমি হলেও যথাযথ পৃষ্টপোষকতার অভাবে অল্পতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে উদীয়মান ক্রীড়ামোদী। ইতোমধ্যে শুধু শাহরাস্তিতে নয়, দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে উদীয়মান ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম হোসেন মিঠু। শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ টেপ টেনিস সিজন ১-২ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল ও পেসার সাইফুদ্দিনের আগমনে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়। টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের আগমন ঘটে সূচিপাড়া মাঠে।

শাহরাস্তি উপজেলা ক্রীড়া জগতের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাবের কর্ণধার ক্রীড়ানুরাগী জাহিদুল ইসলাম দিপু। কাতার প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিপুর হাত ধরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সূর্যের আবির্ভাব ঘটেছে। সকল প্রতিযোগিতায় তার দলের অংশগ্রহণ ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা আশার আলো দেখাচ্ছে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনকে। ক্রীড়ামোদীদের কাছে আস্থার প্রতীক জাহিদুল ইসলাম দিপু। ইতোমধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন শুধু ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাবেন। ব্যক্তি উদ্যোগে শাহরাস্তি উপজেলার ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে গেলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হোঁচট খেতে হচ্ছে ক্রীড়া সংগঠনগুলোকে।

৫ আগস্টের পর শাহরাস্তি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুল আমিনকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। উক্ত কমিটির সদস্য রয়েছেন আরো ৫ জন। কমিটি গঠন করার পর এখনো কোনো সভা হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে কোনো সভা করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে কমিটি গঠনের পর নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি ও নতুন কর্মকর্তার যোগদান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একাধিক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের কারণে নিয়মিত ক্রীড়া সংস্থার সভা করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মো. সামছুল আমিন জানান, ক্রীড়াঙ্গনকে শক্তিশালী করতে সংস্থাকে গতিশীল করা জরুরি। আমি আহ্বায়ক মহোদয়ের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।