প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ১৯:৩১
১০ সেলাই আর শ্লীলতাহানির ধাক্কায় বিছানায় কাতরাচ্ছে এক নারী

মাথায় ১০ টি সেলাই ও শ্লীলতাহানির ধাক্কায় বিছানায় কাতরাচ্ছে কামরুন্নাহার (৪৭) নামের এক নারী। হাতপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন তিনি বাড়িতে রয়েছেন। এর আগে গত ২ জুন ২০২৫ (সোমবার) হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুঁলছোয়া গ্রামের সর্দার বাড়ি প্রকাশ্য মকবুল ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। কামরুন নাহার এ বাড়ির দুলাল মিয়ার স্ত্রী। এ বিষযে ৫ জনকে আসামী করে আহতের স্বামী দুলাল মিয়া বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয়েছে আহতের জা একই বাড়ির কবির হোসেনের স্ত্রী মেহেরুন নেছা(৪০), তাদের সন্তান জান্নাত আক্তার, নোমান, মৃত নুর ইসলামের ছেলে নেছার আহমেদ ও কবির হোসেনকে।
|আরো খবর
আহতের দেবর জাকির হোসেন ও অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নোমান এদিন সকাল বেলা তার চাচী কামরুনাহারকে বলে, হায় হায়রে সকাল বেলা পাগলের সামনে নি পড়ালাম। চাচী ফের বলে, হায় হায়রে সকাল বেলা কেরির পোলার সামনে পড়ছি। এর কিছু পরে নোমান বাড়িতে গিয়ে একটি সাইকেল নিয়ে আসে। সাইকেল নিয়ে আসার পরে নোমান জোরে চালিয়ে সাইকেলটি তার চাচী কামরুন নাহারের গায়ের ওপর উঠিয়ে দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুন নাহার উঠে গিয়ে তার হাতে থাকা ঝাড়ু দিয়ে নোমানের সাইকেলে আঘাত করে। এ সময় পাশের ঘরের অন্য এক নারী ডাকচিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নোমামের মা ও বোন। তারা এসে কামরুন নাহারকে বেড়ধড়ক মারধর করে, শরীর কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফেলে আর কামরুন নাহারকে দেয়া তার প্রবাসী ছেলের ১ ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এরপরেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে জানিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসক। মাথার আঘাতে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কর্মরত চিকিৎসক। কিন্তু ঈদের কারণে রোগীকে কুমিল্লা না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে চিকিৎসক বলেছে, মাথা সিটি স্ক্যান করতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী হানিফ জানান, আমি দূর থেকে খেয়াল করলাম, নোমানে তার চাচীর চুলের মুঠি ধরে মারধর করেতেছে, এর পরেই তার মা মেহেরুননেছা একটা মোটা মেহগনির লাঠি নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়, একই সাথে মারধরে যোগ দেয় মেহেরুন নেছার মেয়ে জান্নাত।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তের পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।